• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বেড়াতে আসুন রূপের রাণী বান্দরবানে লামায় কার্প জাতীয় মাছের মিশ্রচাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ ইতিহাদ এর উদ্যোগে লামায় জাতীয় মেধাবৃত্তি পরীক্ষা-২০২৪ অনুষ্ঠিত সরকারি পুকুরে মাছ শিকারের অভিযোগে লক্ষ টাকা জরিমানা করল উপজেলা প্রশাসন আগামীকাল শনিবার কাপ্তাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে জোন কমাণ্ডার’স স্কলারশিপ: অংশ নিচ্ছেন ৫১২ জন শিক্ষার্থী খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব’র অন্তবর্তীকালীন কমিটির সাধারণ সভা ও পার্বত্যাঞ্চলের গুণী সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত নদীর পাড়ে তামাক চাষ বন্ধে বিএটিবি’র কৃষক সমাবেশ আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠনের দাবিতে মানিকছড়িতে ইউপিডিএফের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ বান্দরবানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বই ও শিক্ষা উপকরণ উপহার প্রদান চাঁদার টাকা না দিলে হামলা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে -সন্ত্রাসী রকি গ্রুপ ১ যুগ পর মহালছড়ি গণতান্তিক উপায়ে বাজার ব্যবসায়ী কমিটি গঠন ওলামা বাজার মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সংবাদ সম্মেলন

বন্যপ্রাণী অপরাধ দমনে লামা-আলীকদমে সচেতনতামূলক পথসভা

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নিজস্ব সংবাদদাতা / ৩৮৯ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : সোমবার, ৭ মার্চ, ২০২২

“আমরাই পারি বন্যপ্রাণী বাঁচাতে”এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে বন্যপ্রাণীর প্রতি অপরাধ দমন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বান্দরবান জেলার লামা-আলীকদমে ১ দিন ব্যাপী পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (০৭ মার্চ) দিনব্যাপী আলীকদম উপজেলার বন বিভাগের তৈন রেঞ্জ অফিসে এই পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ঢাকার পরিচালক এ এস এম জহির উদ্দিন আকন।

বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ঢাকার পরিচালক এ এস এম জহির উদ্দিন আকনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আরিফুল হক বেলাল, সহকারী বন সংরক্ষক খন্দকার মোঃ গিয়াস উদ্দিন, বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ঢাকার পরিদর্শক অসীম মল্লিক।

পথসভায় লামা আলীকদম উপজেলা থেকে সাংবাদিক, শিক্ষক, হেডম্যান, কারবারী, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, শিক্ষার্থী, নারী নেত্রী, বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সুশীল সমাজের ৩০ জন প্রতিনিধি এই সচেতনতামূলক পথসভায় অংশ নেয়।

জহির উদ্দিন আকন বলেন, বনের গাছপালা কৃত্রিম ও প্রাকৃতিক কারণে বিলুপ্ত হওয়ায় বন্যপ্রাণী আজ হুমকির মুখে। পরিবেশ হচ্ছে জীবের প্রতিকূল। জলবায়ু হচ্ছে বৈরী। অথচ বনই হচ্ছে প্রাণীর জন্ম, বিচরণ, প্রজনন ও বসবাসের উপযুক্ত জায়গা। আইইউসিএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- বৈরী জলবায়ুর কারণে বাংলাদেশে ৭০৮ প্রজাতির মাছের মধ্যে ৫৪টি, ৬৩২ প্রজাতির পাখির মধ্যে ১২টি প্রজাতি বিলুপ্ত হয়েছে এবং ৩০ প্রজাতি বিলুপ্তির পথে। ৪৯ প্রজাতির উভচর প্রাণীর মধ্যে ৮টি, ১৬৭ সরীসৃপ প্রজাতির মধ্যে ১৭টি বিলুপ্তির পথে। ১২৭টি স্তন্যপায়ী প্রজাতির মধ্যে ১২টি বিপন্ন আর ১৭টি বিলুপ্তির পথে। ৫ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদের মধ্যে ১০৬টি অস্তিত্ব হুমকির মুখে। ডাইনোসোরের মতো বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে বাঘ। প্রতি বছর পৃথিবীতে প্রায় ৫০টি বাঘ কমে যাচ্ছে।

দেশের জীববৈচিত্র্যের অফুরন্ত ভাণ্ডার হচ্ছে বন। বনই হচ্ছে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের ধারক ও বাহক। বন আছে বলেই উদ্ভিদ ও প্রাণী বেঁচে আছে। বন শুধু গাছপালাই রক্ষা করে না। সব প্রাণিজগৎকে বাঁচিয়ে রেখেছে। অনেক উন্নত জাতের ফসল উদ্ভাবনের জন্য বন্য প্রজাতির ফসলের জিন সংগ্রহ করা হয়। প্রায় দুই হাজার প্রজাতির ভেষজ উদ্ভিদের জন্ম, উৎপত্তি, বাস ও নিরাপদ স্থান হচ্ছে বন। আগে বনই ছিল মানুষসহ সব প্রাণীর খাদ্যের উৎস। প্রকৃতির প্রতিটি উদ্ভিদ ও প্রাণীর খাদ্যের জন্য একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল।

দেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য বন রক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য বন ও বন্যপ্রাণী অপরিহার্য।

এম/এস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ