• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ডা. শাহিনের প্রচেষ্টায় খুলনা বিভাগে প্রথম মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বৃষ্টির প্রত্যাশায় গোয়ালন্দে ইস্তেস্কা নামাজ আদায় লামায় চাঁদা আদায়কালে অস্ত্র সহ যুবক আটক বাঙ্গালহালিয়াতে সুধীর বিশ্বাসের মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলের শোক প্রকাশ কাপ্তাই থানা পুলিশ এর অভিযানে গ্রেফতারি পরোয়ানা ভুক্ত আসামি নরসিংদী হতে  আটক বাংলাদেশের অনগ্রসর ত্রিপুরা জাতির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে বাত্রিকস- হিরন জয় ত্রিপুরা পেনশন স্কিমে সুবিধাভোগীর সম্পৃক্ততা বাড়াতে কাজ করছে মানিকছড়ি প্রশাসন মানিকছড়িতে অবৈধ বালু উত্তোলন করায় অর্ধ লাখ টাকা জরিমানা বান্দরবানে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায় কাপ্তাইয়ে তথ্য আপার উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

মহেশখালীতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে বসত ঘরে অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

হ্যাপী করিম (মহেশখালী) কক্সবাজার: / ৩২৪ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : রবিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২১

মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাংগা ১নং ওয়ার্ডে বদি মাঝির ভিটায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয় বলে জানা যায়।

১০ ডিসেম্বর (শুক্রবার) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। মৃত আলী হোসেন পুত্র বদিউল আলম মাঝি, শামশুল আলম মাঝি, ফরিদুল আলম এর যৌথ পরিবারে আগুনে শিখা দেখলে গ্রামবাসী বালি,পানি ইত্যাদির মাধ্যমে আগুন নিভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থতা হয় তখন ফায়ার সার্ভিস কে জানালে যত দ্রুত সম্ভব তারা এসে উপস্থিত হয়।গ্রামবাসী,ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ প্রসাশনের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে প্রায় ১ ঘন্টা জ্বলার পর তখন আগুনে সব ছাই হয়ে যায়। বসত ঘরে বসবাস করত মরহুম আলী হোসেনের চার পুত্র, নুরু মাঝি, শামসু মাঝি,বদি মাঝি ও তাদের ছোট ভাই ফরিদ আলম, আমেনা খাতুন,আনজুমান আরা বেগম, নুর হাসান, হুমাইন কবির, শিমুল আরা ও আবু বক্করের বসত ঘর। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দাবি,তাদের প্রায় ৩০ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং ট্রলার মালামাল আগুনে পুড়ে যায়। আরো বলেন,মাত্র ৭-৮ মাস পূর্বে ঘরটি তৈরি করা হয়,ঘরের সব ফার্নিচার নতুন ছিল।আগুনে পুড়ে সব শেষ হয়ে গেল। গত মাসে নতুন বিয়ে হয় সফি আলমের সাথে কাজল আক্তারের। তার সব নতুন আসবাব পত্র ৫ ভরি স্বর্ণ আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে গেলো। আগুন লাগার সময় আলী হোসেনর ৪পুত্র সাগরে ছিলো।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা জানায়,আমি যখনি ফোনে জানতে পারি কুতুবজোম ঘটিভাংগায় আগুন লেগেছে তখন আমরা সাথে সাথে বেরিয়ে পড়ি।আগুন লাগা বসত ঘরের পাশে কোন পুকুর অথবা পানি উৎস না থাকায় আমরা প্রথমে হিমশিম খেয়েছি,শেষে এক বৃদ্ধ মহিলার সহযোগিতায় আধা কিলোমিটার দূরত্বে পানি উৎস খু্ঁজে পায় যার ফলে তাড়াতাড়ি আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। যার ফলে,আশে পাশের আরো বসত বাড়ি রক্ষা পায়।

ঘটিভাঙ্গা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রিমন ছিদ্দিক জানায়, আগুন খবর জানার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিস কে ফোন করি, তারপর গ্রামবাসীর সহযোগিতা নিয়ে আগুন নিভানোর চেষ্টা চালিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, আমি চেয়ারম্যান সাথে কথা বলেছি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদ হতে।

এদিকে শনিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নিবার্হী অফিসার সাইফুল ইসলাম। অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি ও সরকারী সহায়তা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ