• শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল বেলকুচি উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে নিজকে গড়ে তুলে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভুমিকা রাথতে হবে -বাবুল দাস কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে লজ্জাবতী বানর অবমুক্ত কাপ্তাই বিএসপিআই শিক্ষার্থীদের ওপর ফের হামলা, ৪ জন আহত এম কে বাঘাবাড়ী ঘি কোম্পানির উৎপাদনকারী মো: কামাল উদ্দিনের ১ বছরের কারাদণ্ড কোটা সংস্কারের দাবিতে  কাপ্তাই বিএসপিআই এ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল দিনেদুপুরে কৃষকের বাড়িতে হামলা লুটপাট রাঙামাটি সদর জোনের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান আলীকদম সেনা জোন কর্তৃক মানবিক সহায়তা প্রদান পানছড়ি মাদ্রাসায় অব্যবস্থাপনা ও অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন খাগড়াছড়িতে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষ্যে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

রামগড়ে ওএমএসে একতরফা আতপ চাল বিতরন

রামগড় প্রতিনিধি: / ২৮৮ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ৫ আগস্ট, ২০২১

খাগড়াছড়ির রামগড়ে চলমান লকডাউনে সরকার বিশেষ ওএমএস চালু করেছে। দরিদ্র মানুষের জন্য ন্যায্যমূল্যে পৌরসভায় তিনজন ডিলারের মাধ্যমে এ বিশেষ ওএমএস এ প্রতিজনকে ৩০ টাকা কেজিতে ৫ কেজি করে চাল ও ১৮ টাকা কেজিতে ৫ কেজি করে আটা বিতরণ করা হচ্ছে।

বিতরনের প্রথম কয়েকদিন সুভিধাভোগীদেরকে সিদ্ধ ও আতপ চাল দিলেও বর্তমানে খাদ্য বিভাগ থেকে সিদ্ধ চাল দেয়া বন্ধ করায় নাখোশ হয়েছেন বেশিরভাগ মানুষ। কারণ পাহাড়ে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন আতপ চাল পছন্দ করলেও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ আতপ চাল খেতে পছন্দ করেন না। তারা সব সময় সিদ্ধ চাল খেয়ে থাকেন। যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানেন। এরপরও কার স্বার্থে এবার সিদ্ধ চাল বিতরণ বন্ধ করা হয়েছে এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

গত ২৫ জুলাই থেকে বিশেষ ওএমএস চালু করার দিনই সুবিধাভোগীরা আটা ক্রয় থেকে বঞ্চিত ছিল। পরে আটা দেয়া শুরু করার কয়েকদিনের মাথায় সিদ্ধ চাল বিতরণ বন্ধ করায় বিষয়টিকে সন্দেহের চোখে দেখছে সুবিধাভোগীরা। কারন বাজারে আতপ চাল থেকে সিদ্ধ চালের দাম তুলনামূলক বেশি। তাদেরই অনেককে আবার ডিলার পয়েন্ট থেকে আতপ চাল কিনে বাজারে নিয়ে সামান্য লাভে বিক্রি করে বাজার থেকে সিদ্ধ চাল কিনেছেন।

সুবিধাভোগীদের অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গুদাম থেকে চাল ব্যবসায়ীদেরকে টাকার বিনিময়ে সিদ্ধ চাল নিতে দেখা গেলেও আমাদের বেলায় সংকট তৈরী করছে গুদাম সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ডিলার মোঃ শাহ আলম বলেন, সিদ্ধ চাল বিতরণ না থাকায় সুবিধাভোগীদের অনেকে অসন্তুষ্ট। সিদ্ধ চাল বরাদ্দ বিবেচনায় নেয়া দরকার।

সরেজমিনে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া গেলেও বরাদ্দ বিতরনের ছাড়পত্রের কোথাও চালের আগে পরে সিদ্ধ অথবা আতপের উল্লেখ করেননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। শুধুমাত্র চাল উল্লেখ করায় বিষয়টি খতিয়ে দেখার প্রয়োজন বলে মনে করছেন সুবিধাভোগীরা।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা খাদ্য গুদাম কার্যালয়ে গেলে কর্মকর্তাকে পাওয়া না যাওয়ায় সিদ্ধ চাল বরাদ্দ বন্ধের সঠিক কারন জানা যায়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ