অন্তর মাহমুদ, মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রতিনিধি: সারা দেশের ন্যায় মাটিরাঙ্গা উপজেলাতেও সরকারিভাবে জারিকৃত পরিপত্র অনুযায়ী ৩% বরাদ্দ এবং উপজেলা,ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক গৃহীত প্রকল্পসমূহের ২৫% নারী সদস্যদের নেতৃত্বে বাস্তবায়নের দাবীতে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৃলা দের এর নিকট স্বারকলিপি প্রদান করেছেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরাম।
মঙ্গলবার (০১সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য ও পৌরসভার নারী সদস্যদের সাথে নিয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরাম এর সভাপতি উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস হাসিনা বেগম এর নেতৃত্বে এই স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। এ সময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ফারজানা আক্তার ববি উপস্থিত ছিলেন।
স্বারকলিপি সূত্রেজানা গেছে, উপজেলা গভর্নেন্স প্রজেক্ট কর্তৃক ২০১৩ সালে পদাধিকার বলে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে ইউনিয়ন পরিষদ নারী সদস্য, নারী কাউন্সিলর ও জেলা পরিষদ নারী সদস্য কর্তৃক নারী উন্নয়ন ফোরাম গঠিত হয়। তবে কোন উপজেলা চেয়ারম্যান নারী হলে সে উপজেলায় তিনিই হবেন সভাপতি। সে অনুযায়ী শিক্ষা, কর্মসংস্থান, সাংস্কৃতিক, সচেতনামূলক কার্যক্রম সহ বিভিন্ন খাত চিহ্নিত করে তা বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃকউপজেলার বাৎসরিক বাজেটের ৩% পর্যন্ত বরাদ্দ এবং পরিষদ কর্তৃক গৃহীত প্রকল্পসমূহের ২৫% নারী সদস্যের মাধ্যমে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৩১ মে ২০১৫ সালে পরিপত্র জারি করা হয়। তৎসঙ্গে পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ কর্তৃক ১৩ জুলাই ২০১৬ সালে ২৫৪ (০৫) নং স্মারকের ধারাবাহিকতায়“নারী উন্নয়ন ফোরামকে শিল্প-বাণিজ্য কাজে যুক্তকরণ প্রকল্প” সৃজন হয়। পরিপত্র জারির পরবাস্তবে পরিপত্রের সঠিকভাবে বাস্তবায়ন না থাকায় ফোরামের কার্যক্রম প্রায় বিলুপ্ত হতে বসেছে। তাই ২০২০ সালে মিঠামইন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আছিয়া আলম (মহামান্য রাষ্ট্রপতিমো: আবদুল হামিদের ছোট বোন) কে আহবায়ক করে নারী উন্নয়ন ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটিগঠন করেন। সে অনুযায়ী চীফ কো-অর্ডিনেটর, আঞ্চলিক কো-অর্ডিনেটর, জেলা কো-অর্ডিনেটর,উপজেলা কো-অর্ডিনেটর পদ সৃষ্টির মাধ্যমে নারী উন্নয়ন ফোরাম সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়।
দেশের অর্ধেকের বেশি নারী। এই জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। নারী উন্নয়নে আইন আছে, কিন্তু মান্য নেই। এখন শুধু একটাই দাবি সকল উপজেলার পরিপত্র অনুযায়ী৩% বরাদ্দ এবং উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক গৃহীত প্রকল্পসমূহের ২৫% নারী সদস্যদের নেতৃত্বে বাস্তবায়ন চায়।