কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান মিন্টু’র বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা চত্বরের প্রধান সড়ক জুড়ে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা-ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মীসহ বড় মহেশখালী ইউনিয়নের কয়েক শত মানুষ এই মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন। মানববন্ধনে বিভিন্ন ইউনিটের ব্যানারে ঘন্টাব্যাপি প্রতিবাদ সমাবেশে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মহেশখালী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক সেলিম উল্লাহ এর সঞ্চালনায় মানববন্ধেনে বক্তব্য রাখেন…. মহেশখালী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাজেদুল করিম, ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার এনামুল করিম, শাপলাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এম, সামিদুল ইসলাম চৌধুরী।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন…উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নুরুল আলম, কুতুবজোম ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হেফায়েত উল্লাহ, বড় মহেশখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন’সহ ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, বড় মহেশখালী এলাকার কতিপয় কিছু ব্যক্তি মেম্বার জিল্লুর রহমান মিন্টুকে ঠেকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। মিন্টু ও তার পরিবার নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের
প্রশাসন কর্তৃকপক্ষকে সঠিক তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেন।
মেম্বার জিল্লুর রহমান মিন্টু পুত্র বলেন, আমার পিতা সারা জীবন মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তার রয়েছে ত্যাগ ও সংগ্রামের ইতিহাস। তিনি ৯ নং ওয়ার্ডের দুই দুইবার মেম্বার নির্বাচিত হন। দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমার পিতা সাথে একটি পক্ষ আমাদের পরিবার নিয়ে ষড়যন্ত্র করে একের পর এক ষড়যন্ত্রমুলক মামলায় আসামী করা হয়। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে আমাদের শান্তিতে বসবাসের ব্যবস্থা করে দিতে কক্সবাজার-২আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক এমপি ও মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
গেল ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি লবন মাঠে পানি চলাচলের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ফকিরাঘোনা এলাকায় মোঃ ফেরদৌস (প্রকাশ কালা বজা) কে হত্যায় নুরুল হক বাদী হয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও মেম্বার জিল্লুর রহমান মিন্টু’সহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন মহেশখালী থানায়। আসলে ওই ঘটনায় যুবলীগ সভাপতি জিল্লুর রহমান মিন্টু কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেন মানববন্ধনকারীরা।