কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে এক রোহিঙ্গা নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।এসময় আহত হয়েছেন আরও দুই রোহিঙ্গা নেতা।
১৩ ফেব্রুয়ারী(রোববার) ভোরে কুতুপালং ক্যাম্প-২ ইস্ট’র বি-৫ ব্লকে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত রোহিঙ্গা নেতা আবুল কালাম কুতুপালং শিবিরের বাসিন্দা হাবিবুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় আহতরা হলো, ক্যাম্পের হেড মাঝি মো.আমিন ও সাব মাঝি মো. জাফর।
ওই ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) পুলিশ সুপার নাইমুল হক পিপিএম বলেন, নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে ক্যাম্পে দুই পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।আহত অবস্থায় পুলিশ আবুল কালাম কে উদ্ধার করে প্রথমে এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি দেখে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ৮ টারদিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।আবুল কালাম কে মারধরে গুরুতর আহত ও মৃত্যুুর ঘটনায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নুর মোহাম্মদ, জোবায়ের,ইব্রাহীম ও জাবের গং জড়িত বলে এপিবিএন সুত্র জানায়। এ ঘটনায় পুলিশ জড়িতদের গ্রেফতারে কাজ করছে বলে জানান তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা জানান, কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের তিনজন মাঝিকে ধরে নিয়ে যায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।পরে তাদের হাত-পা কুপিয়ে জখম করে। এরমধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করায় আগে থেকেই তাদের হুমকি দিয়ে আসছিল সন্ত্রাসীরা।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দিন বলেন, কক্সবাজার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোহিঙ্গা মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।