কক্সবাজার জেলার মহেশখালী পৌরসভার গোরকঘাটা বাজারে প্রধান বাণিজ্য নগর চৌরাস্তার মোড়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৭টি দোকান পুড়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারী) রাত সাড়ে নয়টার দিকে গোরাকঘাটা বাজার এলাকার আল সাব্বির ইলেকট্রিক দোকানের বিদ্যুৎ এর শর্টসার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক কোটি পঞ্চশ লক্ষ টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আল সাব্বির ইলেকট্রিক দোকানের ভিতরে নামের একটি দোকানে প্রথমে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আগুন দেখতে পান। এ সময় তাঁরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও মুহূর্তের মধ্যেই আগুন পাশের নুরুল হক হাজীর রড সিমেন্টের দোকান, মরহুম নজরুলের স্টুডেন্ট টেইলার্স, মিজানের আল সাব্বির ইলেকট্রিক দোকান, সিরাজ খান ফাহিম কম্পিউটার দোকান, নয়নের কুলিং কর্ণার, মহিউদ্দিনের ইলেকট্রিক দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) কল দিলে মহেশখালী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় ১ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী আল সাব্বির ইলেকট্রিক দোকানের ২য় তলায় ভেতরে আগুন জ্বলতে দেখেই ৯৯৯ ও মহেশখালী ফায়ার সার্ভিস নম্বরে কল করেছিলেন। আগুন যেভাবে লেগেছিল, তাতে সেখানকার সব দোকানপাট পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। তবে স্থানীয় লোকজনের পরিশ্রম ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ প্রচেষ্টায় আগুন বেশি ছড়াতে পারেনি। গত ১০ বছরে এ ধরনের ভয়াবহ আগুন কেউ দেখেনি। আগুন আর কিছু সময় স্থায়ী হলে পুরো এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে যেত। আগুনে ৭টি দোকানে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে, মালামাল সব পুড়ে গেছে।
মহেশখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স আল আমিন বলেন, আগুনের খবর পাওয়ার পরপরই মহেশখালী একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। তবে আগুনের তীব্রতা বেশি দেখে মহেশখালী ফায়ার সার্ভিসকেও খবর দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ব্যবসায়ীদের হিসাবে এক কোটি টাকার পঞ্চশ লক্ষ বেশি ক্ষতি হয়েছে। তবে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা যায়নি।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল হাই-পিপিএম বলেন, আগুনের সময় স্থানীয় প্রচুর মানুষ ঘটনাস্থলে ভিড় করেছিল। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের একটু সময় লাগে। পরে রাত ১১টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে এ ঘটনায় কোন ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।