সাওয়ারসপ বা টক আতা( করোসল) একটি বিশেষ ঔষধী গুণের ফল। দক্ষিণ আমেরিকায় এর উৎপত্তিস্থল হলেও সারা বিশ্বে এর কদর দিনদিন বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন দেশে এটা ক্যান্সার প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর ফল সুস্বাদু, ফল হিসেবে এবং পাতা বা বাকলের রস চা এর মত খেলে দেহের ক্যান্সার সেল বৃদ্ধি পায় না।টক আতা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের জনপ্রিয় ছোট অ্যান্টি ক্যান্সার ঔষধি বৃক্ষ হিসাবে ইতিমধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
“এইফল”- অঞ্চলভিত্তিক ভিন্ন নামেই সমাদৃত।গ্র্যাভিওলা, (Graviola), সোরসপ, গুয়ানাভা বা ব্রাজিলিয়ান পাও পাও।করোসলের কমন নাম: “soursop”, “prickly custard apple” এবং বৈজ্ঞানিক নাম: Annona muricata ।
পাহাড়ের কৃষি বিপ্লবের বাতিঘর হিসেবে খ্যাত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর অধীন কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী পাহাড়ী আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে এই ফলের চাষ করে সফলতা অর্জন করেছে এইখানকার বিজ্ঞানিরা।
এই গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডঃ আলতাফ হোসেন জানান, গত ৪ বছর আগে দক্ষিণ আমেরিকা হতে এই গাছের চারা এনে গবেষণা কেন্দ্রে লাগানো হয়।
গত ২ বছর ধরে গাছগুলোতে ফল ধরছে। আমাদের এই কেন্দ্রে এর ২৫ টি মতো গাছ আছে। প্রতিটি গাছে কমপক্ষে ১৫ হতে ২০ টি ফল ধরে এবং প্রতিটি ফলের ওজন এক কেজির মতো হয়।
তিনি আরোও জানান, এই ফল সাধারণত জুন- জুলাই মাসে ধরে। যেহেতু এটি একটি ক্যানসার প্রতিরোধক ফল হিসাবে বিশ্বে পরিচিত, তাই অনেকে এসে এই কেন্দ্র হতে এই ফল এবং এর পাতা নিয়ে যায়। তবে বানিজ্যিক ভাবে এখনোও এই ফলের বাজার মূল্য তৈরী না হলেও অচিরেই এটি বাংলাদেশে বানিজ্যিকভাবে এর বিস্তার লাভ করবে বলে আমরা মনে করি।
এই ফলের স্বাদ গ্রহনকারী কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান জানান, এই ফলের চিত্র ও বীজ আতা ফলের মতই। আর স্বাদটা অনেকটা মিক্সড মনে হয়েছে।আমাদের দেশী কাঁঠাল, টকলিচু,আম, আতা আর আপেলের পেস্ট একসাথে খেলে যেমন লাগবে এ ফলের স্বাদ ঠিক তেমনি মনে হয়েছে আমার কাছে। এ গাছের পাতার সেদ্ধ পানি নিয়মিত খেলে ব্লাড সুগার কমায়,হাইপারটেনশন থেকেও নাকি মুক্তি মেলে আর শরীর তরতাজা রাখে।