মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছড়া ইউনিয়নের ছামিরাঘোনা এলাকার পাহাড়ি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র’সহ আলোচিত আলাউদ্দিন হত্যা মামলার এজহারভূক্ত আরও দুই আসামি’সহ ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। সময় পাহাড়ি আস্তানায় মাটিতে পুঁতে রাখা ১০টি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) ভোরে পাহাড়ে এ অভিযান পরিচালনা করে র্যাব।
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কালারমারছড়া ছামিরাঘোনা এলাকার মৃত মনছুর আলমের পুত্র রফিকুল ইসলাম (মামুন) (২৮), চিকনীপাড়া মনিরুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ রিফাত (২৩) ও মোহাম্মদশাহ ঘোনা মৃত আবদুল আলীর পুত্র আয়ুব আলী (৪০)। গ্রেপ্তার তিন জনের মধ্যে দুজন সম্প্রতি আত্মসমর্পণ করা জলদস্যু আলাউদ্দিন হত্যা মামলার আসামি।
র্যাব- জানায়, গত ৫ নভেম্বর মহেশখালীর কালারমারছড়ায় আত্মসমর্পণকরা জলদস্যু আলাউদ্দিনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই ১৮ জনের নাম উল্লেখ্য করে ৪/৫জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে হত্যা মামলা দায়ের করে নিহত আলাউদ্দিনের পরিবার। তারপর থেকে ছায়াতদন্ত শুরু করে র্যাব-১৫। এ মামলা দায়েরের পরপরই চট্টগ্রামের পটিয়া এলাকায় পুলিশি অভিযানে তিন আসামিকে গ্রেপ্তারের পর কক্সবাজার শহরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১৫। সবশেষ আজ মঙ্গলবার র্যাবের হাতে আটক হওয়া আরও দুই আসামিসহ মোট ৫জন আসামিকে গ্রেপ্তার করলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
তিন আসামি গ্রেপ্তার নিয়ে কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সিপিসি কমান্ডার মেজর শেখ ইউসূফ আহমেদ জানান, একটি হত্যা মামলার রহস্য উম্মোচিত হওয়ার পাশাপাশি হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা শেষে মহেশখালী থানায় হস্তান্তর করা হবে। কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার লে. কর্নেল মো. খায়রুল ইসলাম সরকার বলেন, মহেশখালী উপজেলাকে সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত করতে র্যাবের ধারাবাহিক অভিযান চলবে।
এদিকে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাই প্রতিনিধি’কে জানান, যেকোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে মহেশখালী থানার দুই পুলিশ অফিসারের নেতৃত্বে ১৩জন পুলিশ সার্বক্ষণিক নজর রাখছে কালারমারছড়াকে। কোনো রকম গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধও জানান তিনি।