রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শাহিন মোল্লার বিরুদ্ধে এক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ১৫শতাংশ জমি প্রতারণার মাধ্যমে দখল এবং আত্মসাতের অভিযোগে মানববন্ধন ও কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে প্রতিবন্ধী ওমর আলী সহ এলাকাবাসী।
সোমবার (২২ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের সামনে ঢাকা খুলনা মহাসড়কে ৩০মিনিট ব্যাপি মানববন্ধন কর্মসূচি ও মহাসড়কে কাউন্সিলর শাহিনের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। এসময় দল-মত নির্বিশেষে সকল শ্রেনী-পেশার ২শতাধিক মানুষ এ মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন।
প্রতিবন্ধী ওমর আলী মল্লিক বলেন, পৌরসভা ৩নম্বর ওয়ার্ডের কুমড়াকান্দি গ্রামের মল্লিকপাড়ায় আমার ১৫শতাংশ জমি প্রতিবেশীর সাথে সীমানা নির্ধারণী বিরোধের কারণে স্থায়ী সমাধানের জন্য পৌর কাউন্সিলর শাহিন মোল্লার কাছে গেলে সে তার নিকট জমি বিক্রি করতে বলেন, ঝামেলা এড়াতে জমিটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিলে সে জমিটি ১লাখ ৫০হাজার টাকা শতাংশ হারে মোট ২২লাখ ৫০হাজার টাকা দাম নির্ধারণ করে বায়না নামা করে ১লাখ টাকা প্রদান করে বাকী ২১লাখ ৫০হাজার টাকা অন্যত্র বিক্রি করে প্রদান করার আশ্বাসে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের একজন দলিল লেখককে দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি (আম মোক্তার) নামায় সাক্ষর করিয়ে নেন এবং কিছুদিন পরে পাওয়ার অব অ্যাটর্নির ক্ষমতাবলে ওই জমিটি অন্যত্র ২০লাখ টাকায় বিক্রি করলে আমি তার কাছে জমির বাকী টাকা দাবি করি। এ অবস্থায় সে বাকী টাকা না দিয়ে উল্টো আমাকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন। বাধ্য হয়ে বিষয়টি সমাধানের জন্য গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল ইসলামের শরণাপন্ন হই এবং তার কিছুদিন পরে একটি সাংবাদিক সম্মেলনও করি। এতেও কোন প্রতিকার না পেয়ে আজকের এই মানববন্ধন। এ পর্যায়ে প্রতিবন্ধী ওমর আলী মানববন্ধনের মাধ্যমে প্রতিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য কামনা করেন এবং এর সঠিক বিচার দাবি করেন।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, গোয়ালন্দ পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শাহজাহান শেখ,
পৌর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আকাশ শাহা, মুনসুর, সাইদ ফকির সুরুজ ফকির প্রমুখ।
এ প্রসঙ্গে পৌর কাউন্সিলর শাহিন মোল্লা বলেন, ওমর আলী মল্লিকের ১৫শতাংশ জমির মধ্যে ৫-৬ শতাংশ জমি দখলে রয়েছে বাকী জমির দখল জনিত সমস্যার কারণে শারীরিকভাবে অসুস্থ ওমর আলী মোল্লা অন্তত ১৫দিন ঘুরে আমাকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেন। পরে জমির দাম সাড়ে ৩ লাখ টাকা নির্ধারণ করে নগদ এক লাখ টাকা এবং আড়াই লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করি। অথচ গত পৌরসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আমার প্রতিপক্ষ তাকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ করাচ্ছে। আদৌ এর কোনো সত্যতা নেই।