পটিয়া পৌর সদরের ৫নং ওয়ার্ড হাবিবুর পাড়া এলাকার সরোয়ার নামের এক মাদকসেবী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার প্রতিজ্ঞা করেছে। এ সংক্রান্তে তার স্ত্রী শেলী আকতার আজ সকালে পটিয়ার একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শেলী আকতার জানায়, শেলী আকতারের সাথে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সরোয়ারের মধ্যে ২০০২ সালে বিয়ে হয়। তাদের দুই মেয়ে এক ছেলে রয়েছে। বড় মেয়ে এবার এস,এস,সি পরীক্ষা দিচ্ছে। শেলীর বিয়ের পর তার চাচা শেলীর নিকট এক শতক জায়গা বিক্রয় করে। ফলে হাবিবুর পাড়া এলাকার তাদের প্রতিবেশী কতিপয় লোকজন শেলীর উপর ক্ষেপে যায়। শেলীর স্বামী সন্তানদের বাড়ি ভিটি থেকে উচ্ছেদের হুমকি দেয়। এর মধ্যে স্বামী সরোয়ারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান “শাহ আমানত প্রেস” বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্বামী বেকার হয়ে পড়ে। এলাকার কিছু মাদক সেবীদের সাথে মিশে সরোয়ার মাদকাসক্ত হয়ে যায়। এতে শেলীর প্রতিপক্ষ আমিনসহ কতিপয় লোক এ সুযোগ গ্রহণ করে । শেলীর প্রতিপক্ষরা স্থানীয় মাওলানা ওয়াহিদুল্লাকে নিয়ে মাদক বিরোধী কমিটি গঠন করার পর গত ৮ সেপ্টেম্বর সরোয়ারকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করে। এছাড়া ১১ সেপ্টেম্বর হাবিবুর পাড়া এলাকায় মাওলানা ওয়াহিদুল্লার সভাপত্বিতে একটি মাদকবিরোধী সমাবেশ করা হয়। উক্ত সমাবেশে শেলীকে ডেকে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য চাপ দেয়। এমনকি সরোয়ারকে ৩/৪টি মামলা দিয়ে ১০/২০ বছর জেলে থাকার ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে উদ্বুদ্ধ করে। গত ১০ নভেম্বর সরোয়ার জামিনে আসার পর ওয়াহিদুল্লার নেতৃত্বে এলাকার লোকজন পুনরায় সরোয়ারকে গ্রেপ্তার করার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। শেলী জানান আমার স্বামী মাদক ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য প্রতিজ্ঞা করেছে। অল্পদিনের মধ্যে সে বিদেশ চলে যাবে। এর মধ্যে তাকে এলাকার লোকজনসহ পুলিশ হয়রানি করলে সে ভালো হওয়া কিংবা বিদেশ যেতে পারবে না। ফলে তাদের পুরো পরিবারে অন্ধকার নেমে আসবে। এ ধরনের কোনো পরিস্থিতি হলে স্বপরিবারে আতœহত্যা করবে বলে শেলী সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন। মাদক সেবী সরোয়ারকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সমাজের লোকজনসহ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছে। সংবাদ সম্মেলনে শেলীর স্বামী সন্তানেরা উপস্থিত ছিলেন।