• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
হারিয়ে যাওয়া ৮৩টি মোবাইল ও বিকাশে নগদ ২ লাখ টাকা মালিকদের কাছে হস্তান্তর করলেন -এপিবিএন রামগড়ে ৮ বছর পর সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার নাইক্ষ্যংছড়ি বিএনপির র‍্যালী ও শোভাযাত্রায়- গোয়ালন্দে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত গুইমারাতে তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কাপ্তাই থানা পুলিশ এর অভিযানে লোহাগড়া এবং বারঘোনিয়া হতে আটক ২ কাপ্তাই ইউএনওকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানালেন উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ মাটিরাঙ্গায় গ্রাম পুলিশে সদস্যদের মাসব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের উদ্বোধন দীঘিনালায় জুলাই আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে সভা অনুষ্ঠিত গুইমারায় দূর্ঘটনা প্রতিরোধে সড়কের দু’ধারে জামায়াতের ঝোপ-ঝাপ পরিস্কার অভিযান রুমায় সেনাবাহিনীর সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত – ৩ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার সেনা জোন কর্তৃক অসহায় গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের বই বিতরণ

সেতুর অপেক্ষায় তিন যুগ, চরম ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ

মোঃ আলমগীর হোসেন, লংগদু (রাঙামাটি) প্রতিনিধিঃ / ৩৬৭ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : সোমবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২১

রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার হলো ১নং আটারকছড়া ইউনিয়নের করল্যাছড়ি বাজার। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি হতে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য এ বাজারে আসেন। এ বাজারটি মূলত গরু-ছাগল,হাস-মুরগী,কলা-কচু,এবং হলুদের জন্য বিখ্যাত। এসব পণ্য বাজারের আশে-পাশের এলাকাগুলো হতে আসে।বাজারের সাথেই লাগানো উত্তর পাশে মাইনী খালের ছড়ারর উপর একটি ব্রিজ না থাকার কারনে চারটি গ্রাম নতুনপাড়া, আলুটিলা,দক্ষিণ রেয়াংকাইজ্জা ও আটরকছড়ার কয়েক হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা এই বাশেঁর সাঁকোটি। এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে পণ্য বাজারে আনা-নেওয়া করতে যেমনি দুর্ভোগ তেমনি প্রতিদনি চলাচল করতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তবে তিন যুগের বেশি সময় ধরে এই চারটি গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি একটি সেতু নির্মাণ করা। সেতু নির্মাণ হলে তাদের দুর্ভোগ কমবে।

গ্রামগুলোর বাসিন্দারা জানান, ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যর একটি সেতু নির্মাণের জন্য উপজেলার জণপ্রতিনিধি, মন্ত্রী, সাংসদসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আবেদন করেছেন তাঁরা। জনপ্রতিনিধিরা প্রত্যেকেই আশ্বস্থ করেছেন সেতুটি নির্মাণের ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউ কথা রাখেননি।
ইউনিনের একমাত্র হাইস্কুল করল্যাছড়ি আর এস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রহিম বলেন, উপজেলার আটরকছড়া ইউনিয়নের এই পাঁচ গ্রামে ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয় আসতে এই সাঁকোটি পাড় হয়ে আসতে হয়। এতে ছাত্র-ছাত্রীরা জনসাধারণকে করল্যাছড়ি বাজারে, ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলার সঙ্গে যাতায়াতের জন্য (কাপ্তাই হ্রদের অংশ) মাইনী খালের এই অংশটি নৌকা অথবা বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হয়। সাঁকো পার হতে গিয়ে চার বছরের এক শিশু পানিতে পড়ে মারাও গেছে। আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন।
বাঁশের সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে হাত ভেঙেছে স্থানীয় ইউপির সদস্য আব্দুর রহমানের। আব্দুর রহমান বলেন, ‘সাড়ে তিন বছর আগে সাঁকো পার হতে গিয়ে বাঁশ ভেঙে নিচে পড়ে যাই। এ সময় আমার একটি হাত ভেঙে যায়।’

করল্যাছড়ি আরএস উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. মাসুম জানায়, এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি, এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কারও সহযোগিতা এখনো পাওয়া যায়নি। চৈত্র-বৈশাখ মাসে খালের পানি কমে গেলে সাঁকোটি ছোট করে দিতে হয় আবার বর্ষা এলে বড় করতে হয়। এভাবে বছরে দুবার সাঁকো নির্মাণে স্থানীয়দের ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। বুধবার করল্যাছড়ি বাজারে সাপ্তাহিক হাটের দিন। বাজারে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি পারাপার নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় সবাইকে।
করল্যাছড়ি বাজার কমিটির সভাপতি নুরু মিয়া বলেন, নদীর ওই পাড়ে আমার বাড়ি। প্রতিদিন সাঁকো পার হয়ে আমাকে আসা-যাওয়া করতে হয়। এ ছাড়া আলুটিলা আনসার ক্যাম্পের সদস্যরাও এই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করেন। এখানে একটি সেতু নির্মাণের দীর্ঘদিনের দাবি। অনেক মন্ত্রী, এমপি এই বাজারে এসেছিলেন, সবাই কথা দিয়েছিলেন সেতু নির্মাণের। কিন্তু এখনো বাস্থবায়ন হয়নি। ২০১৬ সালে জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান সরেজমিনে পরিদর্শন করেন বাঁশের সাঁকোটি। তিনিও আশ্বাস দিয়েছিলেন এখানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তাও চার বছর গত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আটরকছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঙ্গলকান্তি চাকমা বলেন, বিভিন্ন সভা-সেমিনারে সেতুটি নির্মাণের জন্য কথা বলেছি। এমপি, মন্ত্রী সবাই আশ্বাস দিয়েছেন। এলাকার মানুষ খুবই দুর্ভোগে আছেন। সেতুটি হওয়া একান্ত জরুরি।
লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘করল্যাছড়ি বাজার এলাকার খালের ওপর এক শ মিটার দৈর্ঘ্যর সেতু নির্মাণের জন্য এলজিইডিতে প্রস্থাবনা পাঠানো হয়েছে। আশা করি অনুমোদন হয়ে যাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ