• শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ১১:১৬ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
মহালছড়ি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির মানবিক উদ্দ্যোগ, ঈদ উপকরণ হিসেবে গরুর মাংস বিতরণ ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে পানছড়িতে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের মাঝে মহাপরিচালকের উপহার সামগ্রী বিতরণ। মহালছড়িতে পালিত হয়েছে বিশ্ব তামাক দিবস ২০২৫ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত: পানছড়িতে সেনাবাহিনীর ঈদ উপহার বিতরণ পানছড়িতে দরিদ্র জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানে ছাগল ও শুকর বিতরণ দৌলতদিয়া পোড়াভিটা থেকে মাদক সেবী ও মাদক কারবারি আটক নানিয়ারচরে বিআরডিবির দক্ষতা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ গোয়ালন্দে বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস উপলক্ষে অবস্থান কর্মসূচি পালিত খাগড়াছড়িতে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে ভিজিএফ (চাউল) বিতরণ মহেশখালীতে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে গেছে হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা মানিকছড়িতে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত পাহাড়ের পাদদেশে থাকা পরিবারকে সরে যাওয়ার নির্দেশ লামায় বৈরী আবহাওয়ার কারণে ৬০টি পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে আলোড়ন ফেলেছে ‘ফাতেমা’ ধান

কামরুল হাসান জুয়েল, ফরিদপুর থেকে: / ২৯৭ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : রবিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২১

বোয়ালমারীতে আলোড়ন তুলেছে ‘ফাতেমা’ ধান। উচ্চ ফলনশীল জাতের এই ধানে শীষ প্রতি মিলছে আটশো থেকে হাজার করে ধান। যা প্রচলিত ধানের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। তাই ফাতেমা ধান রীতিমতো সাড়া ফেলেছে উপজেলা জুড়ে। বোয়ালমারীর ময়না ইউনিয়নের লংকারচর গ্রামের কৃষক আকিদুল ইসলাম তার ৪০ শতাংশ জমিতে চাষ করেছেন এই ফাতেমা ধান। আকিদুলের দেখাদেখি অনেকেই আগ্রহী হয়েছেন এই উচ্চ ফলনশীল ধান চাষে। ঘোষপুর ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ী গ্রামের বাবুল শেখ এ বছর ২৪ শতাংশ জমিতে ফাতেমা ধানের চাষ করছেন।
তথ্য মতে, বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের চাকুলিয়া গ্রামের সেকেন্দার আলীর স্ত্রী ফাতেমা বেগম তার ছেলের জমিতে চাষকৃত ধানের মধ্যে তিনটি ভিন্নধর্মী দেখতে পান। এই তিনটি ধানের শীষ থেকে পান দুই কেজি ধান বীজ। সেই বীজ এক বিঘা জমিতে চাষাবাদ করে লেবুয়াত শেখ ৩৫ মণ ধান ঘরে তোলেন। পরবর্তীতে কৃষক লেবুয়াতের মা এই ধানের উদ্ভাবক হওয়ায় তার নামানুসারে এই ধান ‘ফাতেমা ধান’ হিসেবেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক পরিচিতি পায়।
আকিদুল ইসলাম জানান, ইউটিউবের মাধ্যমে ফাতেমা ধানের বিষয়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে ঢাকার মগবাজার থেকে এই ধান সংগ্রহ করি। এরপর প্রাথমিকভাবে আমার ৭৫ শতাংশ জমিতে এ ধানের চাষ করি।
ডিপ্লোমা কৃষিবিদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, এই ধানের বিশেষ বৈশিষ্ট হলো এর লম্বা শীষ। ধানগাছের পাতা চওড়া দেড় ইঞ্চি। এই জাতের গাছের কাণ্ড ও পাতা দেখতে অনেকটা আখ গাছের মতো এবং অনেক বেশি শক্ত। তাই এই ধান ঝড়-বৃষ্টিতে হেলে পড়ার কোন আশঙ্কা নেই। ফলে অন্য যেকোনো জাতের তুলনায় এই জাতের ধান অনেক ব্যতিক্রম।

ফাতেমা ধান চাষি বাবুল শেখ বলেন, এটি অন্য যে কোনো জাতের তুলনায় উচ্চ ফলনশীল। তাই এর প্রতি মানুষের আগ্রহ দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বোয়ালমারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ শরিফুল ইসলাম বলেন, ব্যক্তি উদ্যোগে দুই-একজন ফাতেমা ধান চাষ করছেন। এ ধান সম্পর্কে আমাদের কাছে বিস্তারিত কোন তথ্য নেই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ