• মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শেষ হলো বান্দরবান-র  জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট মহালছড়িতে সরস্বতী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন ও আর্থিক উপহার প্রদান উপজেলা বিএনপির লামায় নবাগত ইউএনওর সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় নানা আয়োজনে রাজস্থলীতে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় মতবিনিময় অনুষ্ঠিত খেলাধুলা একটি জাতির উন্নতির অন্যতম মাধ্যম- বলেন -লে. কর্নেল এ এস এম মাহমুদুল হাসান আওয়ামী সরকারের রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডে জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিতে খাগড়াছড়িতে মশাল মিছিল রাইখালী ত্রিপুরা সুন্দরী কালী মন্দিরের উন্নয়নের জন্য ৮০ হাজার টাকা অনুদান  দিলেন  সবুজ মারমা দীঘিনালা জোনের উদ্যোগে অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ছাত্রলীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বান্দরবানে বিএনপির বিক্ষোভ রুমায় গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালকসহ নিহত,২ আহত- ৪ বান্দরবানে ৭ শ্রমিককে অপহরণ করল সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে আলোড়ন ফেলেছে ‘ফাতেমা’ ধান

কামরুল হাসান জুয়েল, ফরিদপুর থেকে: / ২৭১ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : রবিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২১

বোয়ালমারীতে আলোড়ন তুলেছে ‘ফাতেমা’ ধান। উচ্চ ফলনশীল জাতের এই ধানে শীষ প্রতি মিলছে আটশো থেকে হাজার করে ধান। যা প্রচলিত ধানের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। তাই ফাতেমা ধান রীতিমতো সাড়া ফেলেছে উপজেলা জুড়ে। বোয়ালমারীর ময়না ইউনিয়নের লংকারচর গ্রামের কৃষক আকিদুল ইসলাম তার ৪০ শতাংশ জমিতে চাষ করেছেন এই ফাতেমা ধান। আকিদুলের দেখাদেখি অনেকেই আগ্রহী হয়েছেন এই উচ্চ ফলনশীল ধান চাষে। ঘোষপুর ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ী গ্রামের বাবুল শেখ এ বছর ২৪ শতাংশ জমিতে ফাতেমা ধানের চাষ করছেন।
তথ্য মতে, বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের চাকুলিয়া গ্রামের সেকেন্দার আলীর স্ত্রী ফাতেমা বেগম তার ছেলের জমিতে চাষকৃত ধানের মধ্যে তিনটি ভিন্নধর্মী দেখতে পান। এই তিনটি ধানের শীষ থেকে পান দুই কেজি ধান বীজ। সেই বীজ এক বিঘা জমিতে চাষাবাদ করে লেবুয়াত শেখ ৩৫ মণ ধান ঘরে তোলেন। পরবর্তীতে কৃষক লেবুয়াতের মা এই ধানের উদ্ভাবক হওয়ায় তার নামানুসারে এই ধান ‘ফাতেমা ধান’ হিসেবেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক পরিচিতি পায়।
আকিদুল ইসলাম জানান, ইউটিউবের মাধ্যমে ফাতেমা ধানের বিষয়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে ঢাকার মগবাজার থেকে এই ধান সংগ্রহ করি। এরপর প্রাথমিকভাবে আমার ৭৫ শতাংশ জমিতে এ ধানের চাষ করি।
ডিপ্লোমা কৃষিবিদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, এই ধানের বিশেষ বৈশিষ্ট হলো এর লম্বা শীষ। ধানগাছের পাতা চওড়া দেড় ইঞ্চি। এই জাতের গাছের কাণ্ড ও পাতা দেখতে অনেকটা আখ গাছের মতো এবং অনেক বেশি শক্ত। তাই এই ধান ঝড়-বৃষ্টিতে হেলে পড়ার কোন আশঙ্কা নেই। ফলে অন্য যেকোনো জাতের তুলনায় এই জাতের ধান অনেক ব্যতিক্রম।

ফাতেমা ধান চাষি বাবুল শেখ বলেন, এটি অন্য যে কোনো জাতের তুলনায় উচ্চ ফলনশীল। তাই এর প্রতি মানুষের আগ্রহ দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বোয়ালমারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ শরিফুল ইসলাম বলেন, ব্যক্তি উদ্যোগে দুই-একজন ফাতেমা ধান চাষ করছেন। এ ধান সম্পর্কে আমাদের কাছে বিস্তারিত কোন তথ্য নেই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ