অসীম রায় (অশ্বিনী) বান্দরবানঃ
বান্দরবানের লামায় ১৫ দিনের ব্যবধানে ফের ২০ শ্রমিককে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার ফাঁসিয়া খালি ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ড গয়াল মারা মুরুংঝিড়ি রাবার বাগানের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অপহৃতরা হলেন- মো. ফারুক (২৬), মো. আইয়ুব আলী (২৬), মো. সিদ্দিক (৪০), মো. আব্দুল খালেক (২০), আব্দুল মাজেদ (১৭), মনিরুল ইসলাম (৩০), জিয়াউর রহমান (৪৫), মো. মোবারক (২৫), মো. হারুল (৩০), সৈয়দ নুর (২৮), রমিজ উদ্দিন (৩০), মো. কায়ছার (৩৮), মো. মনির হোসেন (৩৫), মো. ইমরান (১৭), মঞ্জুর (৩০), আফসার আলী (২৫), মো. খাইরুল আমিন (৩০), আবু বক্কর (২৯), আবদুর রাজ্জাক (৩৩) ও মো. মবিন (২৫)। তারা সবাই কক্সবাজার জেলার রামু ও ঈদগাহ এবং বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাসিন্দা।
সূত্রে জানা গেছে, লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ড গয়ালমারা মুরুং ঝিড়ি রাবার বাগান এলাকায় বাগানের কাজে যায় ২০ শ্রমিক। সেখান থেকে শনিবার গভীর রাতে সশস্ত্র একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায় তাদের। খবর পেয়ে তাদের উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করছে যৌথ বাহিনী।
লামা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. নুরুল আনোয়ার বলেন, ‘অনেকগুলো রাবার বাগান আছে। কিছু অংশ লামায় পড়ছে, কিছু অংশ নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় পড়েছে। সেসব এলাকায় অপহৃত শ্রমিকদের উদ্ধারে যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান আছে।’
লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ও লামা উপজেলার সীমান্তে দুর্গম এলাকা ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ড গয়ালমারা মুরুংঝিড়ি রাবার বাগান এলাকা থেকে শুক্রবার দিবাগত রাতে ২০ শ্রমিককে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করেছে। অপহৃতদের উদ্ধারে যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে।’
১৪ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারিতে একই উপজেলার সরই ইউনিয়ন থেকে দুই দফায় ১৪ জন শ্রমিককে অপহরণ করেছিল সন্ত্রাসীরা। পরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অক্ষত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়েছিল।