• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
নদীর পাড়ে তামাক চাষ বন্ধে বিএটিবি’র কৃষক সমাবেশ আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠনের দাবিতে মানিকছড়িতে ইউপিডিএফের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ বান্দরবানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বই ও শিক্ষা উপকরণ উপহার প্রদান চাঁদার টাকা না দিলে হামলা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে -সন্ত্রাসী রকি গ্রুপ ১ যুগ পর মহালছড়ি গণতান্তিক উপায়ে বাজার ব্যবসায়ী কমিটি গঠন ওলামা বাজার মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সংবাদ সম্মেলন সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে কাপ্তাই সেনা জোনের প্রীতি ভোজ  পরিষদ ভবণ নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে মানিকছড়িতে সচেতন নাগরিক ফোরামের মানববন্ধন মাটিরাঙ্গায় প্রা‌ন্তিক কৃষক‌দে‌র মাঝে বিনামূ‌ল্যে সার ও বীজ বিতরণ চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালে ২ দিনব্যাপী  দক্ষতা উন্নয়নের উপর কর্মশালা শুরু রাঙ্গামাটিতে ঘুষ-তদবির ছাড়া মেধার ভিত্তিতে ১৭ জন পেলেন পুলিশের চাকরি দাগনভূঞা সরকারি হাসপাতালে আস্থা ফিরেছে রোগীদের – ক্রমান্বয়ে বাড়ছে রোগী, কনসালটেন্ট ও জনবল সংকটে চরমে

উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক ব্রাশফায়ার করে হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে নাগরিক পরিষদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: / ৯৬৩ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : সোমবার, ১৭ আগস্ট, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার, বাবুছড়া সোনা মিয়া টিলা’র আব্দুল মালেকের পরিবারের উপর গভীর রাতে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসী কর্তৃক ব্রাশফায়ার করে আব্দুল মালেকের স্ত্রীকে হত্যা ও তাঁর ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ায় তীব্র নিন্দা ও সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়েছে -পার্বত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদ, খাগড়াছড়ি জেলা শাখা।

গতকাল ১৫ ই আগস্ট ২০২০ইং রাত ১.৩০টায় দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া সোনা মিয়া টিলার ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি মোঃ অাবদুল মালেকের বাড়ীতে ঘুমন্ত পরিবারের উপর ইউপিডিএফ কর্তৃক উক্ত সন্ত্রাসী হামলা সংঘটিত হয়।

এই সময় ইউপিডিএফের সন্ত্রাসীরা এলোপাথাড়ি ২০/২৫ রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়, গুলি থেকে আ: মালেক প্রাণে বেঁচে গেলেও তার স্ত্রী মোরশেদা বেগম (৪০) নিহত হয় এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় তাঁর ছেলে মো: আহাদ(১১)।
আব্দুল মালেক ছিলেন সোনা মিয়া টিলার (৮১২ পরিবারের) ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি।

উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আজ রবিবার পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখা কর্তৃক সকাল ১১.০০টায় পৌরসভার সামনে ঈদগাহ মাঠ থেকে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষিন করে শাপলাচত্বরে এসে শেষ হয়,
পরে মুক্তমঞ্চের সামনে বিশাল মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি-আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে ও ছাত্রনেতা আসাদুল্লাহ আসাদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যক্ষ আবু তাহের।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন,আমাদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি গতকালকেই অর্থাৎ ১৫ ই আগস্ট করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ১৫ ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শাহাদাত বার্ষিকী তথা জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এই দিনের যথাযথ মর্যাদা এবং সম্মানকে অক্ষুন্ন রাখতে গতকালকে আমরা এই কর্মসূচি গ্রহণ করিনি। আমরা গতকালকে এ হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
মানবন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, পিসিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম মাসুম রানা সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুজ্জামান ডালিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মাইনুদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক ইঞ্জি-মুহা:লোকমান হোসাইন, যুব বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মাসুদ, সহ প্রচার সম্পাদক এড আফসার রনি,দীঘিনালার সমন্বয়ক তাহেরুল ইসলাম সোহাগ, সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন ৮১২ পরিবারের জন্য সরকারের দেওয়া ৫ একর সম্পত্তি উপজাতিরা দখল করে আছে দীর্ঘ ৩ যুগ থেকে এবং তাদেরকে সাহস দিচ্ছে উপজাতিদের সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ ও জেএসএস।

আব্দুল মালেক ছিল বাঙালীদের এই ভূমিহারা পরিবারের নেতা,সন্ত্রাসীরা মনে করেছে মোঃ অাবদুল মালেককে হত্যা করতে পারলে বাঙালীদের জমি দখল করে রাখতে আর কোন বাধা থাকবেনা এবং ৮১২ পরিবারের পক্ষে আন্দোলন বন্ধ হয়ে যাবে।

বক্তরা আরো বলেন সোনা মিয়া টিলার বাঙালীদের জায়গা দ্রুত বাঙালীদের নিকট বুঝিয়ে দিতে হবে,এবং চিরুনী অভিযান পরিচালনা করে আব্দুল মালেকের স্ত্রীর হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে ফাঁসি দিতে হবে। আব্দুল মালেকের আহত ছেলেটিকে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে একের পর এক সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করতে ও পাহাড়ে শান্তি আনতে জেএসএস ও ইউপিডিএফ সহ সশস্ত্র পাহাড়ী সংগঠন গুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করে কঠোর ভাবে দমন করতে হবে।
এই সময় বক্তারা ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন,এই সময়ের মধ্যে প্রকৃত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হলে কঠিন কর্মসূচি দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অচল করে দেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ