• শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৮ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
দীঘিনালায় ভাঙ্গা ঘরে কষ্টে দিন কাটছে অসহায় আহমদ আলী পরিবারের রামগড়ে চার মাংস ব্যবসায়ীকে জরিমানা গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন-সভাপতি আজু শিকদার, সম্পাদক শহিদুল ইসলাম আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে নতুন ঘর নির্মাণ করে দিলেন যামিনীপাড়া জোন রামগড়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে দুই ব্যবসায়ীকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা খাগড়াছড়ি বন বিভাগ দু’টি বন মোরগ উদ্ধার করে অবমুক্ত করলো প্রাকৃতিক বনে মাটিরাঙ্গা জোনে মাসিক নিরাপত্তা ও মতবিনিময় সভা পাহাড়ে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে সেনাবাহিনীর সহায়তা বিতরণ লংগদু জোনের উদ্যোগে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় সভা মানিকছড়িতে ইয়ুথ গ্রুপের কর্ম অভিজ্ঞতা ও ত্রৈমাসিক সভা লংগদুতে সরকারি চাল মজুদ রাখার অভিযোগে তিন ব্যবসায়ীকে নগদ অর্থদন্ড নববর্ষের শোভাযাত্রায় ইয়েন ইয়েনের দেশবিরোধী প্ল্যাকার্ড নেওয়ায় পিসিসিপি’র বিক্ষোভ

শার্শার ঠেঙামারী ও গোমর বিলের পানি নিষ্কাশনের আশ্বাস

মোঃ ইমরান হোসেন হৃদয়, শার্শা, যশোর, প্রতিনিধি: / ১৯২ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪

 

মোঃ ইমরান হোসেন হৃদয়, শার্শা, যশোর, প্রতিনিধি: শার্শার দক্ষিণ অঞ্চলের মাখলা, ঠেঙামারি ও গোমর বিলে জলাবদ্ধতায় জমে থাকা পানি এক সপ্তাহের মধ্যে নিষ্কাশনের আশ্বাস দিলেন শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত ইয়াসমিন।

রুদ্রপুর ও দাউদখালী ইছামতি নদীর খালের মুখে পরিদর্শন করে তিনি কৃষকদের এ আশ্বাস দেন।

পরিদর্শনকালে তার সাথে ছিলেন, শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসার দীপক কুমার সাহা, বাগআঁচড়া ইউনিয়নের উপ’সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনিসুর রহমান। ৭ নং কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. রুহুল কুদ্দুস, শার্শা থানা বিএনপির সদস্য মো. শহিদুল ইসলামসহ এলাকার প্রায় পাঁচ শতাধিক কৃষকেরা। এ সময় উপস্থিত কৃষকেরা দ্রুত পারি নিষ্কাশনের দাবী জানাই।

পরে সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস কৃষক ভাইদের কষ্ট বুঝতে পেরে কৃষকরা যতে সঠিক সময়ে ইরিধান চাষ করতে পারে এজন্য উপজেলা প্রশাসনের প্রতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

উল্লেখ্য: চলতি বছরে ভারি বর্ষনে ঐ এলাকার ছোট বড় ও মাঝারি সব বিল তলিয়ে রয়েছে আষাঢ় মাসের শুরু থেকে। ১৯৭০ সালের পর থেকে ইছামতী নদী তার নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছে। আর সেই ৫৪ বছর আগে থেকেই কপাল পুড়েছে এ অঞ্চলের চাষীদের। বিলের পানি আগের মত আর নিষ্কাশিত হতে পারে না। উপরন্ত ইছামতী নদীর উজানের পানি উপজেলার রুদ্রপুর- দাউদখালী খাল দিয়ে মাখলা ও সোনামুখি বিলে প্রবেশ করে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে। এক বছরের মধ্যে ৬ মাস বিলের জমি পানিতে তলিয়ে থাকে। এর সমাধানের জন্য ৮০ র দশকে রুদ্রপুর- দাউদখালী খালের ওপর ৩ ব্যান্ডের স্লুইসগেট নির্মান করা হয়। কিন্তু উজানের পানি রোধ করা যায়নি। এরপর ৯০ দশকে ২০ গজ দুরত্বে আরো একটি ৫ ব্যান্ডের স্লুইসগেট নির্মান করা হয়। এতে নির্মান কাজে ত্রুটি থাকায় আগের মতই উজানের পানি প্রবেশ করে মাঠ ঘাট তলিয়ে যায়। সর্বশেষ ২০২৩ সালে দাউদখালী খালের প্রবেশ মুখে বাধ দিয়ে মেশিনের সাহায্যে পানি সেচে ঠেঙামারী বিলে ধান রোপনের ব্যাবস্থা করেন উপজেলা প্রশাসন। এবছর পানির চাপ অনেক বেশি থাকায় ও অনেক ব্যায়বহুল হওয়ায় সেটিও সম্ভব হচ্ছে না। ঠেঙামারী বিলে এখনো ৬ থেকে ৮ ফুট পানি রয়েছে। যে কারনে মৌসুমে ধানচাষ করা যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। মাখলা বিলে ৪০০ একর, ঠেঙামারী বিলে ৫০০ একর ও গোমর বিলে ২০০ একর জমিতে ইরিধানের চাষ করা হয়। বিলে জলাবদ্ধতার কারনে চলতি মৌসুমে মাখলা বিলে ২০০ একর, ঠেঙামারী বিলে ২৫০ একর ও গোমর বিলে ১০০ একর জমি পতিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ