আরিফুল ইসলাম রিয়াজ, মোল্লাহাট,বাগেরহাট:
মোল্লাহাটে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে বিষাক্ত রাসায়নিক জেলি পুশ করা ২৬০ কেজি ও পুশছাড়া ৪০ কেজি সর্বমোট ৩০০ কেজি চিংড়ি জব্দ হয়েছে।
খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক বিভিন্ন গবেষণা নিবন্ধ থেকে জানা যায়, চিংড়ি মাছের ভেতরে বিশাক্ত জেলিসহ অন্যান্য অপদ্রব্য মিশ্রিত চিংড়ি খেলে কিডনি, লিভার ও পাকস্থলীর নানাবিধ জটিলতা তৈরি হতে পারে। জেলির যে রাসায়নিক উপাদান রয়েছে, সেটা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তা ছাড়া খাবারের সঙ্গে যেকোনো অপ্রত্যাশিত বস্তু, যা খাবার নয়, সেটা থাকাটাই ক্ষতিকর।
নির্বাহী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হরেকৃষ্ণ অধিকারী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (২০ নভেম্বর) উপজেলার নতুন ঘোষগতি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় উক্ত চিংড়ি এবং পুশের সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। অভিযান চলাকালীন কর্মকর্তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে চিংড়িতে পুশকারি দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়। তবে দুস্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা করা হবে বলে তিনি জানান । চিংড়ি মোল্লাহাটের একটি ব্র্যান্ড। এই ব্রান্ডকে যেই কলুষিত করার চেষ্টা করবে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এরপর পুশকৃত চিংড়ি উপজেলা চত্বরে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে বিনষ্ট করা হয়। খাবার উপযোগী ৪০ কেজি চিংড়ি নিলামে বিক্রি করা হয়।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুস সালাম জানান, চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে, এরই ধারাবাহিকতায় আজ একটি মোবাইল কোর্ট করা হয়েছে।