উত্তম চক্রবর্তী,মণিরামপুর।। আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের ধুম পড়েছে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন মাঠে মাঠে। নতুন ফসল ঘরে তুলতে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছে। মণিরামপুরে বিস্তৃত ফসলের মাঠে সোনালি ধানের সমারোহ। বাতাসে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। চারিদিকে নতুন আমন ধানের ঘ্রাণ। শীতের সকালে কুয়াশা ঘেরা শিশির ভেজা রোদে চিক চিক করছে ধানের গাছগুলি। রাজগঞ্জের মোবারকপুর মাঠ, এ মাঠে গিয়ে দেখা গেল একদল কৃষক ধান কাটার কাজে ব্যস্ত। এরা সবাই ধান কাটার কাজে মগ্ন, কে কার আগে যায় এ নিয়ে চলছে পাল্লা। কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে এরা এ প্রতিবেদককে বলেন, এবার ধান রোপণে প্রথম দিকে পানির সংকট থাকলেও শেষের দিকে বৃষ্টির পানি বেশি হওয়ায় ধান ভালো হয়েছে কিন্তু ফলন বেশি ভালো হচ্ছে না মনে হচ্ছে। তবে নিচু অঞ্চলের ধানের জমিগুলোতে এখনো পানি শুকায়নি ফলে সেসব জমিতে ধান কাটতে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। কৃষকরা আরো বলেন, নতুন ধান কাটা আর সেই ধানের প্রথম অন্ন খাওয়া এ যেন এক অন্যরকম উৎসব। এক সময় নতুন চালের তৈরি পায়েশ- পোলাও, পিঠা-পুলিসহ রকমারি খাদ্য পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়- স্বজনকে নিমন্ত্রণ করে খাওয়াতেন তারা।
কৃষকরা আরও বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর ধানের ফলন ভালো হয়েছে। প্রতি বিঘাতে ধান উৎপাদন করতে খরচ পড়েছে ১০-১১ হাজার টাকা আনুমানিক।
এ ফসল কাটার পর অন্য ফসল উৎপাদনে বাড়তি তেমন খরচ হয় না। আবহাওয়া ভালো থাকায় এখন ভালোভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারছেন কৃষকরা। কৃষি অফিসার ঋতুরাজ সরকার বলেন, মণিরামপুর উপজেলায় আমন ধান মৌসুমে ২২ হাজার ৬৪৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। কৃষকরা ইতিমধ্যে এ ধান কাটতে শুরু করেছে। প্রায় ধান গুছানো সম্পন্ন হয়েছে বাকি ধান কিছু দিনের মধ্যেই কাটা এবং গোছানো শেষ হবে। আবহাওয়া আনুকূলে থাকলেও উপজেলায় আমন ধানের ফলন আশানুরূপ ভালো হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি বেশি জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে কিন্তু ফলনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিসার ঋতুরাজ সরকার।