মো. আলমগীর হোসেন ,লংগদু(রাঙ্গামাটি)
দুর্গম রাঙ্গামাটির পার্বত্য জেলার লংগদু উপজেলায় সাধারন কৃষকদের ঠকিয়ে কোটি টাকার ব্যাংক লোন নিয়ে লাপাত্তা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক কবির, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসেম ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য শুক্কুর আলী।
উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়নের শতাধিক কৃষককে কৃষি প্রণোদনা দেওয়ার কথা বলে ভোটার আইডি কার্ড ছবি নিয়ে, তাদের নামে ৩৫-৪০ হাজার টাকা করে ব্যাংক লোন উত্তোলন করে কৃষকদের দুই হাজার করে টাকা প্রদান করে, নিজেরাই লাপাত্তা হয়ে গাঁ ডাকা দিয়ে রয়েছেন।বর্তমানে এসব লোনের পরিমান প্রায় কোটি টাকার দারপ্রান্তে পৌঁছেছে।
ভুক্তভোগীরা নিজেদের নামে ব্যাংক থেকে নোটিশ আসার পর জানতে পারে তাদের নামে, লাভে উসুলে ৮০ থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন রয়েছে। এলাকার গরীব কৃষকরা লোনের কথা শুনে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মতো অবস্থা হয়েছে ।
ভুক্তভোগীদের দাবী দ্রুত এর মুল হোতাদের খুজে বের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং জালিয়াতি করে উত্তোলনকৃত লোন দ্রুত বাতিল করতে হবে। তাদের দাবি বর্তমান ব্যাংক কর্মকর্তা বিটন চাকমাও বিভিন্ন দালাল দিয়ে অফিসের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এর আগেও গতবছর সোনালী ব্যাংক লংগদু শাখার ব্যাংক জালিয়াতির কবলে পড়ে প্রায় ৬শতাধিক সাধারণ মানুষ।
এবিষয়ে লংগদু উপজেলা ব্যাংক কর্মকর্তা বিটন চাকমা সাংবাদিকদের দুইদিন ঘুড়িয়েও কোন বক্তব্য না দিয়ে অফিসে বসিয়ে রেখে নিজের শিশু সন্তানকে নিয়েই খেলাধুলায় ব্যস্ততা দেখান। এক পর্যায়ে স্ত্রীকে বাড়ি পাঠাবে বলে তিনি সাংবাদিকদের রেখে অফিস ত্যাগ করেন।