সাইফুর রহমান পারভেজ,রাজবাড়ী প্রতিনিধি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে চরমপন্থী নেতা শহিদ মোল্লা হত্যামামলার পলাতক দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন রাজবাড়ী সদর থানার গোপালবাড়ী গ্রামের ইদ্রিস আলী খাঁনের ছেলে শাকিল খাঁন (২৫) ও গোয়ালন্দ উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের হালিম খাঁনের ছেলে হাসিবুল হাসান (২২)। আজ রবিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে রাজবাড়ীর আদালতের নির্দেশে তাদের দুজনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম আজ রবিবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার শাকিল খাঁন ও হাসিবুল হাসান দুজনই চরমপন্থী নেতা শহিদ মোল্লা হত্যামামলার আসামী। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার (৯ নভেম্বর) বিশেষ অভিযান চালায় গোয়ালন্দ ঘাট থানাপুলিশ। অভিযানকালে শাকিলকে ঢাকার শাহআলী থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর আসামী হাসিবুলকে গ্রেপ্তার করা হয় গোয়ালন্দের বালিয়াডাঙ্গা গ্রাম এলাকা থেকে। রাজবাড়ী সদর থানা এলাকার ঘাট ও নৌপথের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তারা শহিদ মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়েছিল। আজ রবিবার দুপুরে রাজবাড়ীর আদালতের নির্দেশে তাদের দুজনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, নিহত শহিদ মোল্লা পাবনা জেলা এলাকার চরমপন্থী দলের একজন নেতা ছিলেন। গত ছয় মাস যাবৎ তিনি রাজবাড়ী জেলা শহরের বাঁশপট্টি এলাকায় দ্বিতীয় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। ঘটনার দিন গত ১৩ জুলাই দুপুরের খাবার খেয়ে বাসা থেকে বের হন শহিদ। পরে ওই দিন বিকেলে অজ্ঞাত একদল দুর্বৃত্ত শহিদ মোল্লাকে গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রমজান মাতবরপাড়া এলাকার নির্জন এক মেহগনি বাগানের ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানে তারা শহিদ মোল্লাকে কাঠের বাটাম দিয়ে বেদম পেটায়। এতে মারাত্মক আহত শহিদকে বিকেল ৫টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে তাঁকে ফেলে রেখে দুর্বৃত্তরা দ্রæত পালিয়ে যায়। এদিকে ওই হপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা চলার কিছুক্ষণ পর শহিদ মোল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে খবর পেয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল থেকে শহিদ মোল্লার মরদেহ উদ্ধার করে গোয়ালন্দ ঘাট থানাপুলিশ। এ ঘটনায় ১৪ জুলাই গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করা হয়।