অসীম রায় (অশ্বিনী) বান্দরবান:
পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা বান্দরবান, রাঙামাটি, ও খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের পুরনো চেয়ারম্যানদের সরিয়ে নতুন নেতৃত্ব ঠিক করে – দিয়েছে সরকার। চেয়ারম্যানদের পাশাপাশি আগের সদস্যদের বাদ দিয়ে ১৪ জন করে নতুন সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তাসলীমা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে নতুন চেয়ারম্যান ও সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পার্বত্য জেলা পরিষদ আইনে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার এসব জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করেছে।
পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পুনর্গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ দায়িত্ব পালন করবে। আগের পরিষদ বাতিল বলে গণ্য হবে। ১৯৮৯ সালে গঠন হওয়া জেলা পরিষদ আইনে ৩৩ জন সদস্য নিয়ে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন
অধ্যাপক থানজামা সাই, কাজল তালুকদার, ও জিরুনা ত্রিপুরা।
সব সময় দলীয় সরকারে মনোনীত দস্যরাই প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন। পরে ২০০৪ সালে আইন সংশোধন করে ১৫ সদস বিশিষ্ট অন্তর্বর্তীকালীন জেলা পরিষদ কাঠামোরা হয়।
তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে নতুন চেয়ারম্যান
সেখানে জেলার বিভিন্ন জাতিসত্ত্বাভিত্তিক প্রতিনিধিদের নিয়ে পরিষদ গঠনের কথা বলা হয়। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে ১৯ আগস্ট ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে। এছাড়া মৃত্যুজনিত কারণে নাটোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ তখন শূন্য ছিল। সবমিলিয়ে খালি থাকা ৬১টি জেলা পরিষদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির বদলে সে সময় প্রশাসক বসানো হয়। এবার বাকি তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে নতুন চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব দেওয়া হল। বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ শূন্য থাকার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে অধ্যাপক থানজামা লুসাইকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সকারের আমলেও লুসাই বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। সাবেক কৃষি কর্মকর্তা ও রাঙামাটি জেলা বিএন- পির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপুর বড় ভাই কাজল তালুকদারকে চেয়ারম্যান করে এ জেলা পরিষদের ১৫ সদস্যের নতুন পরিষদ গঠন করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদে প্রথমবারের মত একজন নারীকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে। আগের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরীকে বাদ দিয়ে সেই পদে আনা হয়েছে জিরুনা ত্রিপুরাকে।