মাগুরা সংবাদদাতা: যশোরের শহরতলীর ঝুমঝুমপুর গ্রামের মাঠপাড়ার নূর মোহাম্মদ (৩০) গত ৩০ অক্টোবর ২০২৪ বুধবার পারিবারিক কলহের জের ধরে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সপ্না খাতুন (২৩) কে পেটে প্রচন্ড বেগে লাথি মারেন, এতে সপ্না মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ও মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে সপ্না তার বাপের বাড়ি মাগুরার বেঙ্গা বেরোইল গ্রামে চলে আসেন এবং গত ০৩ নভেম্বর রবিবার মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন ও ভ্রূণ বাচ্চাটি অকালে গর্ভপাত হয়ে যায়। গত ৫ বছর আগে মাগুরার বেঙ্গা বেরোইল গ্রামের তৌহিদ মোল্লার মেয়ে সপ্নাকে যশোরের ঝুমঝুমপুরে মাঠপাড়ার নূর মোহাম্মদের সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ দেওয়া হয়, বিয়ের পর থেকেই পাষণ্ড স্বামী নূর মোহাম্মদ যৌতুকের জন্য পীড়াপীড়ি করতে থাকে। দরিদ্র বাবা তৌহিদ মোল্লা শত কষ্টের মাঝেও দিন মুজুরের কাজ করে জামাইকে অটোগাড়ি, মোবাইল ফোন ও সোনার গয়না কিনে দেন কিন্তু তাতেও মন ভরেনি নূর মোহাম্মদের । সপ্না ও নূর মোহাম্মদের ঘরে নুসরাত (৪) নামের একটি মেয়ে বাচ্চা রয়েছে, বাচ্চাটি একটু চঞ্চল বিধায় নূর মোহাম্মদের মা জাহিদা সারাক্ষন বাচ্চাটিকে মারধর করেন। নূর মোহাম্মদের মার ভাষ্য অনুযায়ী সপ্নার আবার মেয়ে সন্তান হতে পারে বিধায় তাকে আর বাড়ি রাখা যাবে না, এই জন্য তাকে প্রায়ই নানাভাবে পাশবিক নির্যাতন করা হতো। সপ্না জানান বর্তমানে সে বাচ্চাসহ ভীষণ নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে, রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাগুরা জজকোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছিল।