পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উদযাপন উপলক্ষে রাঙামাটিতে ইসলামিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে উপপরিচালক মো. আশরাফুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।
এসময় জেলা জামায়াতে ইসলামির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার মো. আলী আহসান ভুইঁয়া, মাষ্টার ট্রেইনার মাওলানা বখতেয়ার উদ্দিন, মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের শিক্ষক সমিতির সভাপতি মুফতি শামসুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ওমর আলী, সদর উপজেলা কেয়ারটেকার মাহবুব আলম ও মাওলানা মিরাজ উদ্দিনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) শুধু আমাদের নবীই নন। একাধারে তিনি ছিলেন সমাজ সংস্কারক, যুদ্ধ ক্ষেত্রে একজন সমরাস্ত্রবীদ ও অর্থনীতিবীদ। নারী অধিকার ও নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে তিনিই প্রথম উদ্যোগ গ্রহন করেন। হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ও আচরণ দেখেই অমুসলিমরা ইসলামে ধাবিত হয়েছে। রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)তার শেষ ভাষণে আমাদের নিকট ২টি বিষয় রেখে গেছেন। যার একটি হলো মহাগ্রন্থ আল কোরআর। অপরটি হলো তার সুন্নাত। কিন্তু আমরা আজকাল ইসলামের সৈন্দর্য থেকে দূরে চলে যাচ্ছি। বিভিন্ন মতানৈক্য সৃষ্টির মাধ্যমে আমরা আজ আমাদের ঐক্য হারিয়ে ফেলছি। ইসলামের সৈন্দর্য ফিরিয়ে আনতে আমাদের কে মতানৈক্য ছেড়ে ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে। এসময় জুমুয়ার নামাজের সময় বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করারও আহ্বান জানান তিনি।
আলোচনা শেষে ইসলামিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন অতিথিরা। পরে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া এবং মোনাজাত পারিচালনা করেন, বায়তুল আমান জামে সজিদের খতিব মাওলানা আশহাদুল ইসলাম।