হ্যাপী করিম (মহেশখালী) প্রতিনিধি।
মহেশখালী উপজেলার ধলঘাট এলাকায় নৌ-বাহিনীর আভিযানে মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমানে ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ বাচ্চু আটক।
মঙ্গলবার (২৭ শে আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়নের মুহুরিঘোনা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় বাচ্চুর কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র ও বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এলাকায় আওয়ামীলীগ নেতা চেয়ারম্যান বাচ্চুকে গ্রেপ্তারের কথা ছড়িয়ে পড়লে তাঁর সমর্থিত স্থানীয় লোকজন নৌবাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে নৌবাহিনী আত্মরক্ষার্থে নৌবাহিনী গুলি ছুড়লে কয়েকজন আহত হয়।
মহেশখালী উপজেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা নৌবাহিনী কর্মকর্তা লেঃ কমান্ডার বায়েজিদ হোসেন এর সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে সকালে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় বাচ্চু বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এয়ারগান, দেশীয় অস্ত্র। উল্লেখ্য, আটক আহসান উল্লাহ বাচ্চু’কে মহেশখালী পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
আটক বাচ্চুর বিরুদ্ধে হত্যা থেকে শুরু করে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, চিংড়িঘের জবর দখল সবকিছু চলতো তার নিয়ন্ত্রণে। এই আহসান উল্লাহ বাচ্চু ধলঘাটা মহুরিঘোনা রাহামত উল্লাহ হত্যা মামলার আসামি, মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পে ২৩ কোটি টাকা দুর্নীতি মামলার আসামি এছাড়াও রয়েছে খুন, হামলা, জবরদখলসহ একাধিক মামলা।
তার আপন ভাই ধলঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ ও চাচাতো ভাই ধলঘাটা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন বাবুল৷ এরা ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে গত ১৬ বছর ধরে মহেশখালী ও ধলঘাটার সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।
মহেশখালী থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী জানান, এ বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে এবং অস্ত্র’সহ আসামিকে আদালতে পাঠানো হবে।