আব্দুল মান্নান, স্টাফ রিপোর্ট, খাগড়াছড়িঃ
সপ্তাহব্যাপি ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড়ী জনপদ খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে পানিবন্ধী অসংখ্য মানুষ! বন্যা দুর্গত এসব মানুষের অনেকে আশ্রয় কেন্দ্রে আবার কেউ প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয়ের পাশাপাশি প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ত্রাণ পেয়ে স্বস্তিবোধ করছে। এদিকে গত দুই দশকের মধ্যে স্মরণীয় বন্যায় পাহাড়ধসে সড়ক বন্ধসহ পানির স্রোতে ব্রীজ,কালভার্ট নড়বড় হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। অনেক জায়গায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সড়কের মাটি সরিয়ে যাতায়াত স্বাভাবিক করতে দেখা গেছে।
মানিকছড়ি উপজেলার মুসলিম পাড়া, শান্তিনগর এলাকায় ৬০পরিবারের দুই শতাধিক মানুষ পানিবন্ধী হয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে ২০ পরিবারও আত্মীয় ও প্রতিবেশির আশ্রয়ে রয়েছে অন্তত আরও ৪২ পরিবার। আশ্রিত পরিবারগুলোর মাঝে উপজেলা প্রশাসন,সেনাবাহিনী, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, যুব রেড ক্রিসেন্টসহ ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রাণ ও রান্না করা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার তিনটহরী শান্তিনগর এলাকায় খালের পাড়ে থাকা পরিবারগুলোর ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় দুর্গতরা পাশে থাকা বিএনপি নেতা মো. রেদোয়ানুল হক সোহাগের বাড়িতে ঠাঁই পেয়েছে। সেখানে দুপুর ও রাতের খাবার রান্নায় এগিয়ে এসেছে মানবিক ব্যক্তিবর্গরাও। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ৪২ পরিবারে শুকনো খাবার বিতরণ করেছে। অন্যদিকে উপজেলা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, যুব রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকেও সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়ে ত্রাণ সহায়তায় শামিল হয়েছে।
এদিকে তিনটহরী-যোগ্যাছোলা সড়কের একাধিক জায়গায় কালভার্ট ভেঙ্গে, পাহাড়ধসে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় যুব রেড ক্রিসেন্ট ও স্বেচ্ছাসেবক দলের স্বেচ্ছাসেবীরা মাটি সরিয়ে এবং ভাঙ্গা কালভার্টে মাটি ভরাট করে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে দেখা গেছে। এদিকে মানিকছড়ি-বাটনাতলী সড়কে পানাবিলে একটি বেইলী ব্রীজ হেলে পড়েছে! খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের গচ্ছাবিল স্কুল সংলগ্ন রাস্তাটির অনেকাংশ নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের আশংকা সৃষ্টি হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে সড়ক ও জনপদ বিভাগের উদ্যোগে রাস্তায় বালুভর্তি বস্তা ফেলে পলিথিনে ঢেকে দিয়ে লাল কাপড়ের নিশানা দিয়ে চলাচলে সর্তকতা জারি করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা সাদিয়া নূরীয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, মুসলিমপাড়া আশ্রয় কেন্দ্রে ২০পরিবারের ৮০-৮৫জনকে খাবার, চাউল, ডাল, তৈলসহ খাদ্য উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।