হ্যাপী করিম, মহেশখালী।
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ও উপজেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম শফি (৪০) মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়িতে পৌছেছে আজ। আহত হওয়ার ৮ দিন পর মারা গেছেন।
বুধবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মাহারাপাড়া গ্রামে পৌঁছ শোকের ছায়া নেমেছেন। তিনি
গতকাল বিকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সে কামাল পাশার প্রথম পুত্র।
এর আগে ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিজয় মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে মহেশখালী পৌরসভার বানিয়ার দোকান এলাকায় তিনি হামলার শিকার হন।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ৫ আগস্ট কয়েকজন দুর্বৃত্তের হামলায় শফিউল আলম গুরুতর আহত হন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু বকর নিজ দলের স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদকে দায়ী করেছেন। তিনি কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে বিএনপির মবোনয়নে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
নিহত শফিউল আলম মৃত্যুর আগে দেওয়া অডিও বার্তায় বলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বিজয় মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে সাবেক এমপি আলমগীর ফরিদের ভাতিজা মহেশখালী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল হক নাহিদের নেতৃত্বে ১০/২০ জন সন্ত্রাসী তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় তিনি একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক অডিও বার্তায় তার ওপর হামলার বর্ণনা দেন।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু বকর বলেন, সাবেক এমপি আলমগীর ফরিদের ইন্ধনে তাকে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় তারা আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান।
যোগাযোগ করা হলে সাবেক সংসদ সদস্য আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমিও বিষয়টি শুনেছি। দলের একটি অংশ প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্যে এসব মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় নতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মরহুমের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হইবে।