আরিফুর রহমান স্বপন, লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :
লাকসামে চাঁদাবাজি বন্ধসহ নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ১২ আগষ্ট (সোমবার) উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী মো. আতিকুর রহমান তপু বলেন- আমরা লাকসামের পশ্চিমগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় দোকানপাটে কিছু লোকের চাঁদাবাজির খবর পেয়েছি। এছাড়াও লাকসাম বাজারে ইজরাদাররা অধিক দামে বিভিন্ন হাটবাজার ইজরা নেয়ায় এখন চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। অতি মুনাফা লোভে ইজরাদাররা বাজারে আসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও সাধারণ দোকানদারদের সাথে কথা বলেছি। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে এসেছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে এই মুহূর্তে আমাদের দেখা হয়নি। তিনি আমাদেরকে বিকেলে সময় দিয়েছেন। আমরা উনার সঙ্গে বসবো এবং লাকসামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলবো।
ওই শিক্ষার্থী বলেন- এক শ্রেণির লোক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন গুজব ছড়াচ্ছে। লাকসামে আমরা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা দিন-রাত হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘর পাহারা দিচ্ছি। কিন্তু হিন্দুদের মন্দির ভেঙেছে বলে তারা প্রভাকাণ্ড ছড়াচ্ছে। তবে লাকসামে কোন হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দির ভাঙচুর করা হয়নি। এসব গুজব থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন- এদেশ আমার আপনার সবার। এদেশে আর নৈরাজ্য চলতে দেয়া হবেনা। কেউ নৈরাজ্য ও সহিংসতা করতে চাইলে তাদেরকে প্রতিহত করা হবে। আমরা এদেশের শান্তি চাই। সাধারণ মানুষের নিরাপদে চলা ও কথা বলার নিশ্চয়তা চাই বলেই আমাদের এই আন্দোলন হয়েছে। আমরা এই আন্দোলনে বিজয়ী হয়েছি। এই বিজয় এখন রক্ষা করতে হবে। এতে সবাইকে সুন্দর একটি দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
অপর শিক্ষার্থী মো. তারেক হোসাইন ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন- আপনারা কাউকে কোন চাঁদা দিবেন না। কেউ আপনাদের কাছে চাঁদা চাইলে অবশ্যই সেনাবাহিনী, পুলিশ প্রশাসন এবং আমাদেরকে জানাবেন। আপনারা নিশ্চিতে এবং নির্ভয়ে ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে যান।