মোঃ মাসুদ রানা, রামগড়(খাগড়াছড়ি)প্রতিনিধি:
আগামী ১৪ আগষ্ট দুদেশের যাত্রী পারাপারের মাধ্যমে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে রামগড় স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল (ইমিগ্রেশন সেন্টার)।
এ ইমিগ্রেশন স্টেশন চালু হলে বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামসহ আশপাশ এলাকার মানুষ রামগড় ও সাব্রুম সীমান্ত দিয়ে বৈধভাবে ভারতে ভ্রমণে যেতে পারবেন। একইভাবে ভারতের ত্রিপুরাসহ আশপাশের রাজ্যের মানুষও এ সীমান্ত পথে বাংলদেশে ভ্রমণে আসতে পারবেন।
ইমিগ্রেশন সেন্টার চালু সংক্রান্ত একটি চিঠি ভারতের কাছ থেকে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী।
ইমিগ্রেশন সেন্টার চালুর প্রস্তুতি নিয়ে রামগড়ে আজ দুপুর ১টায় একটি সভায় অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্যকালে তিনি এ কথা জানান। তিনি জানান, ঐদিন দুদেশের যাত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে পারাপারের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন সেন্টারটি খুলে দেয়া হবে।
অনলাইনে আরো সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন রামগড় স্থলবন্দরের প্রকল্প পরিচালক সরোয়ার আলম, খাগড়াছড়ি কাস্টমস অফিসার।
রামগড় স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক টার্মিনাল কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভায় রামগড় স্থলবন্দর ইনচার্জ মো. আমান উল্যাহ এর সঞ্চালনায় বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, রামগড় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসমাত জাহান তুহিন, রামগড় ৪৩ বিজিবির সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ, থানার অফিসার ইনচার্জ দেব প্রিয় দাস, ইমিগ্রেশন পুলিশ ইনচার্জ মো. মনির হোসেন, পাতাছড়া ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নুরুল আলম আলমগীর, টার্মিনাল অফিসার মো. মাসুম বিল্লাহ, সাংবাদিক শ্যামল রুদ্র ও সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন লাভলু প্রমুখ।
রামগড় স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন সেন্টারটি চালু হলে ভারতগামী যাত্রীরা দক্ষিণ ত্রিপুরার মহকুমা শহর সাব্রুম থেকে রেল সার্ভিস যোগে আগরতলায় সহজে যেতে পারবে। আগরতলা থেকে বিমানের সার্ভিস নিয়ে পছন্দসই এলাকায় যেতে পারবে যাত্রীরা। অপর দিকে ভারত থেকে বাংলাদেশ গামী যাত্রীরা রামগড় হয়ে পর্যটন এলাকা তিন পার্বত্য জেলা ছাড়াও চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার যেতে পারবে। কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকে বিমানের সার্ভিস নিয়ে রাজধানীতে যেতে পারবেন। বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বিবেচনা করলে রামগড় স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভ্রমন পিপাসী যাত্রীদের মন জয় করবে খুব কম সময়ে এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করছেন সংশ্লিষ্টরা।