ছোটন বিশ্বাস, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।। খাগড়াছড়িতে টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধস ও জলাবদ্ধতার কারণে খাগড়াছড়ি, দীঘিনালা, লংগুদু, সাজেক ও রাঙ্গামাটি -খাগড়াছড়ি সড়ক সহ বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার সাপমারা নামক এলাকায় রাত ১২ থেকে ০৮ টা পর্যন্ত খাগড়াছড়ি – ড়চট্টগ্রাম -ঢাকা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিলো। ভোর রাত্রি খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহায়তায় সড়ক স্বাভাবিক করা হয়েছে।
টানা বৃষ্টিতে এদিকে খাগড়াছড়ি সদরে বিভিন্ন জায়গায় খাগড়াছড়ি বাস স্টেশন, মুসলিম পাড়া, মহিলা কলেজ সড়ক, দীঘিনালার মাইনি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে দীঘিনালার বোয়ালখালী, মেরুং, লংগুদু, বেতছড়ি, কবাখালীসহ সড়ক জায়গায় নির্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ঘর বন্ধী রয়েছে জেলায় প্রায় ১৫শ পরিবার।
খাগড়াছড়ি স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতকাল থেকেই ভারী বর্ষণের কারণে খাগড়াছড়িতে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে তৎপরতা শুরু করেছিল। এখনো পর্যন্ত সর্তকতা জারি করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। ঝুকিপূর্ণ এলাকার ত্যাগ করে আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে নিরাপদ আশ্রয় নিতে।
খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপ সহকারী পরিচালক মোঃ জাকের হোসেন জানান, আমরা সব সময় প্রস্তুত আছি। আমরা গত রাতে ১২টা দিকে খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গার সাপমারা এলাকায় পাহাড় ধসে খবর পেয়ে সকাল ৮টা পর্যন্ত কাজ থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক রেখেছি। তবে ইতো মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধসের খবর পেয়েছি। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আমাদের ফায়ার সার্ভিসের টিম কাজ করে যাচ্ছেন।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকায় এলাকার আশ্রয়কেন্দ্র গুলো প্রস্তুত রয়েছে। খাগড়াছড়ি ৯৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শুঁকনো খাবার মজুদ রাখা আছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধসের ঝুঁকির পাশাপাশি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার জনসাধারণদের নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।