ছোটন বিশ্বাস, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি খাগড়াছড়ি। সবুজে বেষ্টিত উচু নিচু পাহাড়ের ঢেউ আর সবুজ পাহাড়ে সাদা মেঘের ভেলা। বর্ষার চিরচেনা এই রূপ পর্যটকদের মুদ্ধ করছে। বৃষ্টির পর সবুজ পাহাড় পর্যটকদের কাছে প্রধান আর্কষণ। ঈদের ছুটিতে আলুটিলা রহস্যময় সুড়ঙ্গ,ঝুলন্ত ব্রীজ,তারেং,রিছাং ঝরণাসহ বিভিন্ন দর্শনীয় পর্যটকের পদভারে মুখরিত । বর্ষায় পর্যটকদের কাছে বাড়তি আর্কষণ নয়নাভিরাম পাহাড়ি ঝরনা। পাহাড়ে বেড়াতে এসে মুগ্ধ পর্যটকরা।
চট্টগ্রাম থেকে ঈদের ছুটিতে আসা পর্যটক নিশি বড়ুয়া জানান, আমরা খাগড়াছড়ি আলুটিলা সহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘুরেছি। আমি আগেও আলুটিলা এসেছিলাম। কিন্তু এখনকার আলুটিলায় বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে আর পড়ন্ত বিকেল উপভোগ করার জন্য একটি বেস্ট জায়গা বলা যায়। সব মিলিয়ে বর্তমানে খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্র গুলো অসাধারণ।
পর্যটক মোঃ সোহেল ও মামুন জানান, আমরা বন্ধুরা মিলে ঢাকা থেকে বেড়াতে খাগড়াছড়ি এসছি। খুব ভালো লাগছে এখানে। বিশেষ করে বৃষ্টির পর আলুটিলার অসাধারণ ভিউ। এখানকার প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্র মুগ্ধ করার মতো। বৃষ্টিতে খুব উপভোগ করেছি।
খাগড়াছড়ি মোটেল ব্যবস্থাপক উত্তম কুমার মজুমদার জানান, পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় বাড়ায় খুশি পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। আগামী শনিবার পর্যন্ত এমন ভিড় থাকবে বলে আশা তাদের। আমাদের হোটলের প্রায় রুম বুকিং হয়ে গেছে। আর এভাবে পর্যটক আসতে থাকলে গত দুই মাসে পর্যটক সমাগম কম হওয়ায় তাদের যে ঘাটতি হয়েছিল তা পুষিয়ে নিতে পাড়বে বলে তারা আশা করছেন।
খাগড়াছড়ি ট্যুরিস্ট পুলিশ উপ-পরিদর্শক নিশাত রায় জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছে টুরিস্ট পুলিশ। ঈদের ছুটিতে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে সাবক্ষণিক টহল দেয়া হচ্ছে। দুর্গম এলাকার পর্যটন কেন্দ্রে গিয়ে কোন পর্যটক সমস্যায় পরলে মোবাইল ফোনে তাদের হেল্প লাইনে যোগাযোগ করার সাথে সাথে ট্যুরিস্ট পুলিশের টিম সহায়তা দিবে।
এবার ঈদুল আজহা’র ছুটিতে কয়েক কোটি টাকার ব্যবসা হবে বলে আশা পর্যটন ব্যবসায়ী’রা।