• শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
কাপ্তাই পাহাড়িকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায় নবীন প্রবীনদের মেল বন্ধন ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজে ভর্তিচ্ছুকদের জন্য ছাত্র পরিষদের ‘হেল্প ডেস্ক’ ডংনালা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি   কর্তৃক প্রধান শিক্ষক লাঞ্চিত হবার অভিযোগ মহেশখালী’র নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান’র সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় মানিকছড়িতে বিজয় উল্লাসে ভোটারের পাশে নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা গোয়ালন্দে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের উদ্বোধন খাগড়াছড়ি ৩ উপজেলায় বিজয়ী হলেন যারা, একটিতে ফলাফল ঘোষণা স্থগিত মাটিরাঙ্গায় সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা প্রদান রাঙ্গামাটি চার উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হলেন যারা মহেশখালীতে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন যারা কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: সহবস্থানে থেকে কাপ্তাইয়ে শান্তিপূর্ণ প্রচারণায় প্রার্থীরা কাপ্তাইয়ে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের উদ্বোধন

ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক; বরেণ্য রাজনীতিবিদ আ.ক.ম ইসহাক’র আজ ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী

সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি: / ৫০ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি:
ভাষা সৈনিক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ সোনাগাজীর কৃতি সন্তান আ.ক.ম ইসহাক’র আজ ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। দিবসটি উপলক্ষে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে পারিবারিকভাবে দোয়া, মিলাদ মাহফিল, কোর’আন তেলাওয়াত ও স্থানীয় মসজিদ গুলোতে মিলাদ ও দোয়ার অায়োজন সহ নানাভাবে পালিত হয়েছে। বরেণ্য এই রাজনীতিবিদ আ.ক.ম ইসহাক ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন।

বহুমুখী প্রতিভা ও মানবিক গুনাবলীর অধিকারী, আপামর গন-মানুষের পরম আস্থাভাজন, নির্লােভ, নিরহংকারী দল-মত নির্বিশেষে অত্র অঞ্চলের সকল মানুষের নিকট তিনি ছিলেন শ্রদ্ধার পাত্র। মাটি মানুষের জন্য আজীবন লড়াকু সাংগঠনিক নেতা ইসহাক মিয়া নামে সর্ব মহলে পরিচিত ছিলেন।

দক্ষ সংগঠক আ.ক.ম ইসহাক মিয়ার বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্ম বর্তমান প্রজন্মের তরুন রাজনীতিকদের অনেকেরই অজানা। তিনি ১৯৪৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সোনাগাজী থানার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন।

আ.ক.ম ইসহাক ফেনী জেলাধীন সোনাগাজী উপজেলার বাখরিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন, তাঁর পিতার নাম আলহাজ্ব আবদুস সাত্তার ও মাতার নাম নজমুন নেছা বেগম। অথচ দেশ মাতৃকার এ বীর সন্তানের সংগ্রামী জীবন ইতিহাস ভবিষ্যত প্রজন্মের রাজনীতিকদের জন্য অনুকরনীয় হতে পারে।

আ.ক.ম ইসহাক সম্পর্ক তথ্য অনুসন্ধানকালে তার পুত্র জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সােনাগাজী উপজেলার সভাপতি হাসান মাহমুদ জানান- আমার বাবা দেশ মাতৃকার কল্যানে নিজের ব্যক্তিগত সুখ-স্বাচ্ছন্দ বিসর্জন দিয়ে অসীম ত্যাগ স্বীকার করে আমরন আন্দােলন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে কোন কিছু পাওয়ার আশায় রাজনীতি করেননি। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ সহ অনেক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থেকে পৃষ্ঠপােষকতা করেছেন।

অনেক গরীব শিক্ষার্থীর পড়া-লেখার সুযােগ করে দিয়েছিলেন। গৃহহীনকে ঘরের ব্যাবস্থা করে দিয়েছিলেন। ভূমিহীনকে সরকারী খাসজমি বন্দোবস্ত করে দিয়েছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন সরলপ্রান ধার্মিক মানুষ ছিলেন। সারা জীবনের সংগ্রাম সাধনাকে অমর করে রাখতে তার নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারী স্থাপনা ও একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নামকরনের জন্য সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জােরদাবী জানান।

১৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে সকলের নিকট পিতার জন্য দোয়া কামনা করেন বরেণ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আ.ক.ম ইসহাক এর সুযোগ্য সন্তান বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠান নির্মাতা মামুন মাহমুদ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ