বাংলাদেশের পর্যটন নগরী রাঙ্গামাটির বিলাই ছড়ি উপজেলার নৈসর্গিক সৌন্দর্যের মধ্যে ধুপ পানি ঝর্ণা অন্যতম। এটা ফারুয়া ইউনিয়নের ওড়া ছড়ি নামক স্থানে অবস্থিত। স্থানীয়রা একে ধুপ পানি ঝর্ণা নামে অভিহিত করেছে।
স্হানীয় শব্দে ধুপ অর্থ সাদা আর পানি যুক্ত করে এটিকে সাদা পানির ঝর্ণাও বলা হয়।বিলাই ছড়ি ধুপ পানি ঝর্ণা এই মূহুর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর ঝর্ণা গুলোর মধ্যে একটি। সু বিশাল উচ্চতা,শুভ্র জলরাশি ঝর্ণা।ঝর্ণার নীচের গুহার জন্য পর্যটকদের কাছে এই ঝর্ণাটির আকর্ষন সব সময় অন্য রকম। ঝর্ণাটির স্বচ্ছ পানি এবং অনেক উঁচু থেকে আঁচড়ে পড়া জলরাশি দর্শনার্থীদের মূহুর্তের জন্য বিমোহিত করে দিবে।ধুপ পানি ঝর্ণার নীচের গুহায় চোখ বন্ধ করে বসলে মনে হবে অন্য জগতে চলে গিয়েছে।
বিলাইছড়ি উপজেলা শিল্প কলা একাডেমির সভাপতি জনাব বিপ্লব বড়ুয়া জানান ধুপ পানি হচ্ছে এক বৌদ্ধ ভিক্ষুর তীর্থ স্থান। কাজেই পর্যটকদের এই স্থানে ভ্রমনে ুসে হৈ হুল্লা না করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
চট্টগ্রাম শহর থেকে পর্যটকরা ২ ঘন্টায় কাপ্তাই জেটি ঘাট পৌঁছাতে পারবেন। জেটি ঘাট থেকে ২ ঘন্টায় বিলাই ছড়ি। পথে আর্মি চেকপোস্ট পড়বে।আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিয়ে অনুমতি নিতে হবে।কাপ্তাই থেকে বিলাই ছড়ি নদী পথে যাওয়ার সময় বাড়তি বোনাস হিসাবে পাওয়া যায় নীলাভ কাপ্তাই লেক্ আর সূর্স্ত অস্ত যাওয়ার দৃশ্য যা মূহুর্তের জন্য নিজেকে বিমোহিত করে ফেলবে।
বিলাইছড়ি তে রেস্ট হউজ রয়েছে।তার মধ্যে অন্যতম নিলাদ্রী রিসোর্ট।এই রিসোর্টের প্রতিষ্ঠাতা জনাব পারভেজ চৌধুরী (ইউ এন ও)জানান প্রতি রুম, পার নাইট ভাড়া ২০০০/=,তিনি আরও জানান নিলাদ্রী রিসোর্ট থেকে উপভোগ করা যায় নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক পরিবেষ্টিত অপরুপ সৌন্দর্য।
সিলেট টু চট্টগ্রাম ট্রেনে ৭৫০×২=১৫০০/=(আসা যাওয়া)
রেল স্টেশন টু বহদ্দারহাট ২০/=
বহদ্দার হাট টু কাপ্তাই বাসে ৮০/=
কাপ্তাই টু বিলাই ছড়ি বোটে (১০০×২)=২০০/=
বিলাইছড়ি তে গাইড পাওয়া যায়।
ধুপ পানি ঝর্ণা গাইড খরচ ৫০০/=
মুপ্পোছড়া ও নকাটা ঝর্ণার জন্য গাইড খরচ ৫০০/=
মুপ্পোছড়া ঘাটে বোট পার্কিং ১০০/=
বিলাইছড়ি থেকে এক ঘন্টায় যাওয়া যায় কাটা ঝর্ণা,সেখান থেকে যেতে হয় মুপ্পোছড়া ঝর্ণা।উল্লেখ্য যে এই স্থানে টেলিটক ও রবি সিম ব্যাতীত অন্য কোন অপারেটরে নেট ওয়ার্ক থাকে না।