মোঃ মাসুদ রানা, রামগড়(খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়ির রামগড় পাতাছড়া ইউনিয়ন এর ১১ মাইল এলাকায় বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) খাগড়াছড়ি নামীয় ৫ একর টিলা ভূমির ১০৯ হোল্ডিংয়ের ৬৪৩ নং দাগের অংশ থেকে ২০টি মেহগুনি গাছ কেঁটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে জালিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোঃরহিম মিয়া (প্রকাশ রহিম কোম্পানি) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সরেজমিনে পরিদর্শন করে জানা গেছে সড়ক ও জনপথ এর কোন অনুমতি ছাড়া সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করেছে রহিম মিয়া” সরকারি টিলা ভূমি থেকে গাছ কাটার বিষয়ে রহিম মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান এই গাছ আমার নিজ নামের ৩১২ নং হোল্ডিং এর ৬৩৬ নং দাগের ভিতরে থাকা ভূমির গাছ “আমি যে গাছ বিক্রি করেছি তা সড়ক ও জনপথ বিভাগের না’ এদিকে ভূমির কাগজপত্র দেখতে চাইলে রহিম মিয়া কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। গাছগুলো কার কাছে বিক্রি করা হয়েছে এমন প্রশ্নে রহিম মিয়া জানান আমি গাছ বিক্রি করেছি রামগড় পৌর মেয়র রফিকুল আলম কামাল এবং রামগড় থানার সাবেক ওসি মিজানুর রহমানের কাছে ” রহিম মিয়ার বক্তব্য অনুযায়ী সত্যতা যাচাইয়ে গাছ কেনার বিষয়েটি মেয়রের কাছে জানতে চাইলে তিনি গাছের কেনাবেচার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন।
ইউপি সদস্য ইমাম হোসেন বাবুল জানান এই জমি নির্বাহী প্রকৌশলী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নামে রেকর্ড রয়েছে। ১১ মাইল মাহবুব নগর এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ মনির হোসেন জানান মামলা নং ০১/৮৯ মূলে ৫ একর ৩য় শ্রেনীর জমি আবু তৈয়বের নিকট হইতে নির্বাহী প্রকৌশলী সওজ নামে করা হয়” রহিম মিয়া যে গাছ বিক্রি করেছে সেটা সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি থেকেই। সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী (রামগড়),জুথী চাকমা জানান গাছ কাঁটার বিষয়টি আমি শুনেছি এবং আমাদের অফিস এর লোকজন সরেজমিনে গিয়ে গাছ কাঁটার ছবি নিয়ে এসেছে আমরা এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেবো। রামগড় উপজেলা বিট কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান জানান, গাছ কাটার বিষয়টি আমি জানিনা সড়ক জনপথ বিভাগ গাছ কাঁটার কোন তথ্য দেননি।
উল্লেখ্য যে রামগড় উপজেলা ভূমি অফিস সুত্র এবং রেকর্ড চেক করে জানা গেছে নির্বাহী প্রকৌশলীর নামে ৫ একর ভূমি রেকর্ড রয়েছে ” যাহার চৌহদ্দি হলো উঃ আমির হোসেন ” দঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় “পূর্বে ঝিরি” পঃ মেইন সড়ক। ৩১২ নং হোল্ডিং ৬৩৬ নং দাগে ৪ একর ভূমি রহিম মিয়ার নামে রেকর্ড রয়েছে যাহার চৌহদ্দি উঃ ননা মিয়া “দঃ আব্দুল জলিল “পূর্বে ঝিরি ” পঃ ঝিরি। এতে প্রতিওমান হয় যে ৩১২ হোল্ডিং এবং ১০৯ নং হোল্ডিং এর সাথে কোন ধরনের মিল নেই ” এতে আরো প্রমানিত হয়েছে যে রহিম মিয়া ১০৯ নং হোল্ডিং এর মাঝ থেকে গাছ বিক্রি করে ” যাহা নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ )বিভাগের নামে রয়েছে।