• রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
জেলা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করলেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার শরীফ মো. আমান হাসান কাটিং টিলায় সেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সভায় দলমত নির্বিশেষে গ্রামবাসীর অংশগ্রহণ খাগড়াছড়ি রাস মহোৎসব পরিদর্শন করলেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার শরীফ মোহাম্মদ আমান হাসান স্বপে পাওয়া ঔষধ নিতে হাজার হাজার মানুষের ভিড় ! লংগদুতে উপজেলা বিএনপি,র, বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত মহালছড়ি উপজেলা বিএনপির রাস মহাউৎসব পরিদর্শন ও আর্থিক উপহার প্রদান দৌলতদিয়া পোড়াভিটায় পুলিশের অভিযানে হেরোইনসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার মোল্লাহাটে নকল বিড়ি তৈরির চৌচল্লিশ বস্তা তামাক ও সরঞ্জাম জব্দ চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশের অভিযানে ৩০ লিটার দেশীয় তৈরী চোলাইমদ আটক,-২ সিএনজি জব্দ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সর্বশেষ শহীদ আব্দুল্লাহ এর গায়েবানা জানাজা রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত মাটিরাঙ্গায় জোন কমান্ডারস কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন গুইমারা ইউনিয়ন একাদশ মহালছড়ি উপজেলা যুব রেড ক্রিসেন্ট কমিটি গঠন

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মানিকছড়িতে বৃষ্টি জমির পাকা আমন নিয়ে শংকিত কৃষক!

আব্দুল মান্নান, স্টাফ রিপোর্টার (খাগড়াছড়ি) / ১৬৫ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শনিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৩

আব্দুল মান্নান, স্টাফ রিপোর্টার (খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় প্রায় ৩০০০ হেক্টর জমিতে প্রান্তিক কৃষকের পাকা ও আধা পাকা আমন ধান কাটার মহোৎসব চলছে। হঠাৎ করে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আকাশে গুঁড়ি গুঁড়ি ও মাঝারি বৃষ্টি! ফলে জমির কাটা ও পাকা আমন নিয়ে শংকিত কৃষক।

উপজেলা কৃষি অফিস ও সরজমিন জানা গেছে, উপজেলায় এবার প্রায় ৩০০০ হেক্টরে আমন চাষ হয়েছে। উপজেলার প্রায় অর্ধেক জমিতে আমন কাটার মহোৎসব চলছে। এমন সময়ে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আকাশে গুঁড়ি গুঁড়ি ও মাঝারি বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বিলে বিলে কাটা, পাকা ও আধা পাকা ধান নিয়ে কৃষক শংকিত হয়ে পড়েছে!

উপজেলার বড়বিল ও শিম্প্রপাড়া এলাকায় দেখা গেছে, বিলের পরতে পরতে পাকা আমন কেটে জমিতে শুইয়ে রাখছে কৃষক! কেউ কেউ ট্রাক্টর দিয়ে কাটা ধান সরিয়ে নিতেও দেখা গেছে। এ সময় প্রান্তিক কৃষক মো. রমিজ মিয়া, তামংদু মামরা, মমং মারমা ও সুদুঅং মারমা বলেন, শেষ সময়ে কারও কারও জমিতে আমন ধানে কারেন্ট পোকার আক্রমণ শুরু হওয়ায় আমরা শংকিত হয়ে পড়ি! পরে কৃষি বিভাগের পরামর্শে আক্রান্ত ধান কেটে ফেলি এবং জমির পানি শুকিয়ে কারেন্ট পোকার বড়সড় ক্ষতি থেকে রক্ষা পাই। গত দুই,তিন দিন ধরে পাকা আমন কাটা শুরু করি। গত বুধবার বিকেলে আকাশে মেঘ জমে এবং গতকাল সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি নামায় আমরা কিছুটা শংকিত! কাটা ধান এখনো জমিতে ফেলে রেখেছি। দু’এক জনে কাটা ধান ট্রাক্টরে তুলে বাড়িতে নিলেও বেশির ভাগ ধান এখনও খেতে শুইয়ে রাখা! গচ্ছাবিল ও ধর্মঘর বিলে আমনের ভালো ফলন চোখে পড়লেও পাকা ধান কাটা শুরু করেনি কেউ। তবে অসময়ে আকাশে মেঘের গণঘটায় কৃষকের মনে অস্বস্তি ও শংকিত হওয়ার আভাস লক্ষ্য করা গেছে!

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান বলেন, এবছর উপজেলায় আমন সন্তোষজনক হয়েছে। তিনি প্রান্তিক কৃষকের উদ্দেশ্যে বলেন, ইতোমধ্যে ৮০ শতাংশ জমির ধান পেকে গেছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব তা কেটে ফেলতে হবে। আধাপাকা ধানে এই দুর্যোগে পোকার আক্রমণ হতে পারে। এ ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু দেখলে তা আমাদেরকে (কৃষি বিভাগ) অবহিত করে পরামর্শ ও করণীয় জেনে নিতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ