আব্দুল মান্নান, স্টাফ রিপোর্টার (খাগড়াছড়ি)
বিএনপি-জামায়াতের ডাকে গতকাল হরতালে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার সরকারি অফিসপাড়ায় গুরুত্বপূর্ণ অনেকে অফিসে কর্মকর্তা না আসায় সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সেবাপ্রার্থীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে!
সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অফিসপাড়ায় অবস্থান করে এবং সেবাপ্রার্থী একাধিক মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গেল সপ্তাহে সনাতনী দুর্গোৎসবে অনেক সেবাপ্রার্থীরা পূজোর আনুষ্ঠানিকতায় ব্যতিব্যস্ত থেকেছেন! তাই রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লোকজন নানা সেবার আশায় অফিসপাড়ায় এসেও হতাশ হয়েছেন! উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস, আনসার ভিডিপি অফিস, যুব উন্নয়ন অফিস, শিক্ষা অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, উক্ত অফিসে তালা ঝুলছে! এ সময় উপজেলা শিক্ষা অফিসে অফিসিয়াল কাজে আসা ঢাকাইয়া শিবির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলাম জানান, আজ স্কুলে সংরক্ষিত ছুটি। তাই ভাবলাম যেহেতু শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ, এ সুযোগে অফিসিয়াল কাজ সেরে নেওয়া উত্তম হবে! এই ভেবে সকাল ১০-১ টা পর্যন্ত শিক্ষা অফিসারের জন্য অপেক্ষা করেও পেলাম না! সহকারী শিক্ষা অফিসারও অফিসে এলেন না!
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তপন কুমার চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি! উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে গোরখানা এলাকা থেকে সেবা নিতে আসা মো. রবিউল হোসেন বলেন, আমার একটা বিল গত বৃহস্পতিবার জমা দিয়ে গেছি। কর্মকর্তা না আসায় আজও পেলাম না! এসময় আরেকজন সেবাপ্রার্থী মো. মোস্তফা কামাল বলেন, এই অফিসের কর্মকর্তাকে নিয়মিত পাওয়া যায় না!
উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, অফিসে তালা ঝুলছে! দুপুর ১.৩০ মিনিটে কর্মকর্তা দেব প্রসাদ দত্তের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হরতালে আসতে পারিনি! এখন রওয়ানা হয়েছি! উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. রিদুয়ানুল আলম জানান, আমি দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শে একটি দাত ফেলেছি। তাই অফিসে আসা হয়নি!
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) রক্তিম চৌধুরী বলেন, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান নিয়মিত অফিস না করায় সেবাপ্রার্থীরা সেবা বঞ্চিত হচ্ছে! সেবাপ্রার্থীদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গত মাসিক সমন্বয় সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শেষে সকল কর্মকর্তাকে সর্তক করা হয়েছে। ছুটি ব্যতিত কেউ অফিসে অনুপস্থিত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে রেজুলেশন মূলে ব্যবস্থা নিতে উর্ধতন কর্মকর্তার কাছে সুপারিশ করা হবে।