বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি‘র যামিনীপাড়া জোন কমান্ডার লে. কর্নেল আলমগীর কবির পিএসসি বলেছেন, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক এ তিনের সমন্বয়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় একটা ভাল ফল এনে দিতে পারে। শিক্ষককে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে আন্তরিক হতে হবে। শিক্ষার্থীদের কোচিং মুখী না করে বিদ্যালয়ে পাঠদান নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীকে ভালো মানুষ হতে হবে এজন্য তাদেরকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পরিবার থেকে নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হলে দুর্নীতি থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারবো। ডিভাইস আসক্তি থেকে শিক্ষার্থীদের দুরে রাখতে হবে।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) সকালের দিকে যামিনীপাড়া বর্ডার গার্ড উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে যামিনীপড়া ব্যাটালিয়ন আয়োজিত বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ বিষয়ক ‘জোন কমান্ডার’ কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
বর্ণিল এ অনুষ্ঠানে তবলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম ভুইয়া, তাইন্দং ইউপি চেয়ারম্যান মো. পেয়ার আহম্মেদ মজুমদার, বড়নাল ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াছ, তবলছড়ি কদমতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল হক, ছাত্র অভিভাবক মো. লোকমান হোসেন, বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থী স্বপ্নীল লিজা শান্তা ও বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থী মুরাদ হোসেন সায়েম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
যামিনীপাড়া জোন কমান্ডার লে. কর্নেল আলমগীর কবির বলেন কো-কারিকুলাম অ্যাকটিভিটি সকলের মধ্যে সক্রিয় থাকতে হবে। পাশাপাশি খেলাধূলা করতে হবে। ভবিষ্যতেও জ্ঞানভিত্তিক এমন কুইজ প্রতিযোগিতা অব্যাহত রাখার ঘোষনা দেন তিনি।
‘জোন কমান্ডার’ কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে যামিনীপাড়া ব্যাটালিয়নের মেডিকেলল অফিসার ক্যাপ্টেন মো. আশিকুর রহমান, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম খাঁন, উপ-পরিচালক মো. জাহিদুল ইসলাম ও তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম সহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, শিক্ষার্থী অভিভাবক , গনমাধ্যমকর্মী, হেডম্যান-কার্বারী ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২০২৩ সালের ২৩ মার্চ যামিনীপাড়া জোনের আওতাধীন ছয়টি মাধ্যমিক ও একটি উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬শ ৮২ জন শিক্ষার্থী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৫৪জন শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করা হয়। এরমধ্যে মধ্যে ১০জন শিক্ষার্থীকে দুই বছরের ও ৪৪জন শিক্ষার্থীকে এক বছরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতনের অর্থ পুরস্কার হিসেবে প্রদান করা হয়।