গত ১২ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ অনলাইন সংস্করণে “আর কত অসহায় হলে ঘর পাবে হাজেরা বেগম” – এ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে আসে সেই মানবিক সংবাদ।
হাজেরা বেগমের দুর্দশা নিয়ে পার্বত্য কন্ঠে সংবাদ প্রকাশের পর হাজেরা বেগমের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন গুইমারা উপজেলা নিবার্হী অফিসার রাজীব চৌধুরী।
এরপর তিনি খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামান এর মাধ্যমে হাজেরা বেগমের জন্য একটি নতুন গৃহ নির্মাণের আশ্বাস দেন।
অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্প থেকে একটি নতুন ঘর পাবেন হাজেরা বেগম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গুইমারা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস ঝর্না ত্রিপুরা, ২ নং হাফছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মংশে চৌধুরী, অত্র ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ছানাউল্লাহ ও ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অংগ্যজাই মারমা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরী এবং পার্বত্য কন্ঠ প্রতিনিধি।
এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন হাজেরা বেগম।
তিনি প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘ধন্যবাদ দৈনিক পার্বত্য কন্ঠকে এবং ধন্যবাদ ইউএনও স্যারকে। সারা জীবন কষ্টই করে গেলাম। সুখ কী জিনিস জীবনে সেটা বুঝিনি। শেষ বয়সে এসে পাকা ঘরে থাকবো জীবন কাটাবো এটা ভাবতেই ভালো লাগছে। আমাদের মতো গরিবের শেষ আশ্রয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাজার বছর বেঁচে থাকুন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী পার্বত্য কন্ঠকে বলেন, মুজিববর্ষে কোনো পরিবার গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর এমন দিক নির্দেশনায় প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। হাজেরা বেগমকে নিয়ে সংবাদটি খুব হৃদয়স্পর্শী ছিল। সংবাদটি আমার নজরে আসার পর ঘরের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছেন বলেও তিনি জানান।