• শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:১৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বান্দরবানে ছাত্রশিবির এর ৪৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত, রুমায় সাচিংপ্রু জেরী ও জাবেদ রেজা’কে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল মহালছড়ি থানা পুলিশের বিশেষ অভিযান, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ১ কর্মী আটক আওয়ামীলীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মহালছড়ি ও মাইসছড়ি বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল মহালছড়িতে সামাজিক সংস্কার আন্দোলনের ব্যানারে শীতার্তদের কম্বল বিতরণ রংপুরে ২য় বারের মতো আয়োজিত হয়ে গেলো ” কিরন পেজেন্টস এন,ইউ,এস,ডি,এফ দক্ষতা উন্নয়ন সম্মেলন ২০২৫ বান্দরবানে নানান আয়োজন চলছে জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা ফের স্থলমাইন বিস্ফোরণে নাইক্ষংছড়িতে এক কিশোরের পা উড়ে গেল শেষ হলো বান্দরবান-র  জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট মহালছড়িতে সরস্বতী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন ও আর্থিক উপহার প্রদান উপজেলা বিএনপির লামায় নবাগত ইউএনওর সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় নানা আয়োজনে রাজস্থলীতে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত

আর কত অসহায় হলে সরকারি ঘর পাবে– হাজেরা বেগম?

স্টাফ রিপোর্টার: / ২৭৯ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৩

আল আমিন রনি:

ছিন্নমূল পরিবারের হাজেরা বেগম। সঙ্গে তার ছোট ছেলে আব্দুল্লাহ, পুত্রবধূ ও নাত-নাতনি জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করলেও তাদের ভাগ্যে জোটেনি সরকারি বরাদ্দের ঘর।

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে গিয়ে দেখা যায়, হাজেরা বেগম ও তার পরিবারের জরাজীর্ণ বসবাসের চিত্র।

জানা যায়, উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের বড় পিলাক গ্রামের বাসিন্দা হাজেরা বেগম (৬৫) দাম্পত্য জীবনে ৪ সন্তানের জননী তিনি। এসব সন্তান রেখে ৫ বছর আগে মারা যান তার স্বামী নাসির উদ্দিন। স্ত্রী-সন্তান রেখে তিনি পরপারে গেলেও, রেখে যায়নি কোন সহায় সম্বল। অন্যর ভিটাতে জরাজীর্ণ একটি ঘরে দুর্যোগ আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটে হাজেরা বেগমের। তবে জীবিকার তাগিদে মানুষের বাড়িতে কাজ করেই কোনমতে সংসার চালাতে হচ্ছে তাকে। ছোট ছেলে আব্দুল্লাহকে ও ছেলের বউ, নাতিদের নিয়ে জীবনযুদ্ধ তার।দরিদ্রতার সঙ্গে যুদ্ধ করে খেয়ে না খেয়ে কোনমতে বেঁচে আছেন হাজেরা বেগম।

সুবিধা বঞ্চিত হাজেরা বেগম বলেন, অভাব অনটনের কারণে ঠিকমতো অন্ন-বস্ত্র নেই। এমনকি ঘরের মধ্যে ভালোভাবে ঘুমাব, সেটাও পারি না। কখন জানি উপরে পড়ে ঘরটি। এ ভয়ে ঘুম আসে না চোখে। সরকার যদি একটা ঘর দিতো, তাহলে শেষ বয়সে একটু শান্তিতে ঘুমানো যেতো।

অপরদিকে হাজেরা বেগমের ছোট ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ জানায়, জীবন-জীবিকার তাগিদে সারাদিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করতে হয়। কিন্ত ভাঙা ঘরে ঢুকে বেড়ে যায় দুশ্চিন্তা।

তিনি আরও বলেন, অনেকে সরকারি পাকা ঘর পাচ্ছেন। এ ঘর পাবার আশায় জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন কাজ হয়নি।

হাজেরা বেগমের বড় ছেলে মোঃ হাবিব উল্লাহ বলেন, ‘আমার বাবার সম্পত্তি বলতে কিছুই নেই। আমারও তেমন কোনো জায়গা জমি ও সম্পদ নেই। যা আছে তা দিয়ে নিজের সংসারই চলে না। তারপরও যতটুকু পারি ততটুকু দিয়ে মা ও ভাইকে সহযোগিতা করি। যদি আমার বৃদ্ধ মা একটি ঘর পেত তাহলে অন্তত মরার আগে শান্তি মত একটু ঘুমাতে পারতো।’

প্রতিবেশী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘হাজেরা বেগমের সম্পদ বলতে তার কিছুই নেই। মানুষের বাসায় কাজ করে বা গ্রামের মানুষজন তাকে যা সাহায্য সহযোগিতা করে, তা দিয়ে খেয়ে পড়ে দিন কাটান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ