‘নাগরিক অধিকার সুরক্ষায় ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে
সারাদেশের মতো খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় প্রথমবারের মতো পালিত হলো ‘জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস’।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সকালের দিকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে দিবসের শুভ সুচনা করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী।
পরে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদের সম্মেল কক্ষ ‘রিছাং’ এ অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শরীফ, বড়নাল ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইলিয়াছ, গোমতি ইউপি সচিব দেবাশীষ চাকমা ও মাটিরাঙ্গা সদর ইউপি সচিব মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
নির্ভুল জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের ওপর জোর দিয়ে বক্তারা বলেন, নাগরিক জীবনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের গুরুত্ব অপরিসীম। স্মার্ট বাংলাদেশের পথে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবা। উন্নত রাষ্ট্র বিনির্মানে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সকলকে যত্নবান হতে হবে।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী বলেন, জম্ম নিবন্ধন ও মৃত্যু নিবন্ধন একটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়েই জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের মাধ্যমে তথ্য ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে হবে। বর্তমানে সরকারি সুযোগ সুবিধা নিতে হলে প্রথমে প্রয়োজন জম্ম নিবন্ধন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাই ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করতে।
এসময় বেলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. রহমত উল্যাহ, আমতলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গনি, সহকারী কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা জ্যোতি কিশোর বড়ুয়া ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার অনুপম শীল।
অনুষ্ঠানে তবলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম ভুইয়া, তবলছড়ি ইউপি সচিব মো. ওসমান গনি ও শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম পুলিশ মো. মঞ্জুর হোসেন জম্ম নিবন্ধন ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করায় সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।