আব্দুল মান্নান, স্টাফ রিপোর্টার (খাগড়াছড়ি)
চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি হাইওয়ের ২০ কিলোমিটার রাস্তার দু’পাশে সৌন্দর্যবর্ধনে বৃক্ষরোপন ও পরিচর্চায় দায়িত্ব নিয়ে গাছের চারা রোপন শুরু করেছেন মানিকছড়ি উপজেলার দশটি স্বেচ্ছাসেবী ও মানবিক সংগঠন। আর সড়কে সবুজ প্রকৃতির শোভাবর্ধনে কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, সোনালু, নিম, জারুল,কাঞ্চন, বকুল, কদম, কাঠবাদাম ও বটবৃক্ষসহ নানা প্রজাতির ৫হাজার গাছের চারা ও ঘেরাবেড়ার উপকরণসহ নানা সহায়তা দিচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় খাগড়াছড়ি -চট্টগ্রাম হাইওয়ের মানিকছড়ি উপজেলা অংশের ফটিকছড়ি’র নয়াবাজার স্বাগতম থেকে হাতিমুড়ার প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তার দু’পাশে সৌন্দর্যবর্ধনে বৃক্ষ রোপন উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) রক্তিম চৌধুরী।
উপজেলার দশটি মানবিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শতাধিক যুদ্ধা প্রশাসনের মহতি উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সবুজ বৃক্ষে লাল,হলুদ রংয়ের ফুল ও নানা প্রজাতির ফলের সমাহার গড়ে তোলার কাজে নিজেদের জড়িয়ে রাখতে চারা রোপনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন। এদের মধ্যে একতা যুব সংঘ, ব্লাড ডোনার্স, যুব রেড ক্রিসেন্ট, স্মার্ট মানিকছড়ি, বিডি ক্লিন, আলোকিত মানিকছড়ি, বড়ডলু পূর্বাণী ক্লাব, তিনটহরী যুব সংঘ, মহামুনি ছাত্র সংগঠন ও বাইক রাইডার্সসহ কিছু সহযোগী সংগঠনও মহৎ কাজে এগিয়ে এসেছেন। আর সৃজিত গাছের মধ্যে কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া ,কাঞ্চন, বকুল, নিম, কদম, কাঠবাদাম, জারুল, বটবৃক্ষ,জাম, চাপালিশ, লেবু, জলপাই, জাম্বুরা, সোনালুসহ নানা প্রজাতির ৫ হাজার গাছের চারা।
উপজেলা প্রশাসন সবুজ প্রকৃতির মাঝে ভ্রমণপিপাসু ও প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের পাহাড় ভ্রমণ আনন্দময় করতে মানিকছড়ি ডিসি পার্কের পাশাপাশি হাইওয়ে রাস্তা সৌন্দর্যবর্ধনের মহতি উদ্যোগ প্রসঙ্গে ক্রীড়া, স্বেচ্ছাসেবী ও মানবিক সংগঠন ‘একতা যুব সংঘ’র সভাপতি এস.এম নাছির উদ্দীন বলেন, সবুল শ্যামলে ঘেরা মানিকছড়ি উপজেলার পর্যটন এলাকাসহ হাইওয়ে রাস্তায় উপজেলা প্রশাসন বিলুপ্ত প্রজাতির ওষুধি, ফলফলাদিসহ সৌন্দর্য ও শোভাবর্ধনে বৃক্ষ রোপন উদ্যোগে আমরা সারথি হতে এগিয়ে এসেছি। স্মার্ট মানিকছড়ি’র মো. শরীফ হোসেন বলেন, উপজেলা প্রশাসক (ইউএনও) রক্তিম চৌধুরী সবুজ প্রকৃতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ‘মানিকছড়ি ডিসি পার্কে’ বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির ২৫ হাজার বৃক্ষ রোপন শেষে হাইওয়ে রাস্তায়ও সৌন্দর্যবর্ধন করার মহতি উদ্যোগে আমরা সাড়া দিয়েছি। ব্লাড ডোনার্সের পরিচালক মো. তাজুল ইসলাম বলেন, হাইওয়ের পাশের সংগঠন এলাকাভিত্তিক এসব গাছের চারা রোপন ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) রক্তিম চৌধুরী বলেন, এখানকার সবুজ শ্যামল প্রকৃতি দেখতে আসা পর্যটকদের মনোকর্ষণে ইতোমধ্যে মানিকছড়ি ডিসি পার্কে বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির ২৫ হাজার গাছের চারা রোপন ও পরবর্তীতে এখানকার মানবিক সংগঠনগুলোর আগ্রহ দেখে ‘অনন্য মানিকছড়ি’ গড়ার স্বপ্ন দেখে তাদেরকে নিয়ে কাজ করার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। যার ফলে হাইওয়ে রাস্তা দু’পাশে সৌন্দর্যবর্ধন ও শোভাবর্ধনে ৫হাজার চারা রোপন শুরু করলাম। সৃজিত গাছ সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা এলাকাভিত্তিক নিয়মিত দেখবাল করবে।