আব্দুল মান্নান, স্টাফ রিপোর্টার (খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় সাংসারিক অভাব অনটনে ঋণগ্রস্ত হয়ে আমিনুল ইসলাম(৫০) নামক এক ব্যক্তি রোববার দুপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গচ্ছাবিলস্থ জামতলা এলাকায় মো. আমিনুল ইসলামের সংসারে ২স্ত্রী, ১পুত্র ও ৩ কন্যা রয়েছে। প্রথম স্ত্রী মেহেরুনেছা সন্তানাদি নিয়ে শ্বশুরালয়ে থাকেন। ২য় স্ত্রী রাজিনা বেগমকে নিয়ে সংসারে আমিনুল দীর্ঘদিন অসুস্থতায় নিজের সিএনজি অটোরিকশা বিক্রি করার পাশাপাশি ব্র্যাক ও পদক্ষেপ থেকে লক্ষাধিক টাকা ঋণ উত্তোলন করেন। নিয়মিত ঋণ পরিশোধ ও সাংসারিক ভরণপোষণে হতাশাগ্রস্ত মো. আমিনুল ইসলাম ৩ আগস্ট দুপুর ১২ টার দিকে স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে ঘরে ভীমের সাথে রশি বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন! খবর পেয়ে থানা পুলিশ সরজমিনে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। নিহতের পুত্র মো. নজরুল ইসলাম জানান, আমার আব্বা তাঁর ২য় সংসার নিয়ে এখানে থাকেন। এ সংসারে আমাদের কোন ভাই,বোন নেই। কী কারণে আব্বা গলায় ফাঁস দিল, সেটা বুঝতে পারছিনা।
নিহতের ভাগিনা(প্রতিবেশী) আবদুর রহিম জানান, মামা অনে অসুস্থ থাকায় তার চিকিৎসায় সিএনজি অটোরিকশা বিক্রি করার পাশাপাশি ব্র্যাক ও পদক্ষেপ এনজিও থেকে লক্ষাধিক টাকা ঋণ নিয়েছিল। সপ্তাহে ১৩৫০ টাকা কিস্তি, ওষুধ কিনা ও সংসারের ব্যয় নিয়ে ইদানিং হতাশায় ভুগছিল! আজ( রোববার) সকালেও বাজারে গিয়ে কয়েকজনের কাছে ভূলত্রুটি ক্ষমা চায় এবং বলে যে, আমি মরে যাব! ভাললাগে না! এর পরই দুপুর ১২ টার দিকে ঘরে কেউ না থাকার সুযোগে নতুন কেনা রশি গলায় বেঁধে ভীমের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেন!
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(তদন্ত) মো. আজগর হোসেন বলেন, নিহতের পারিবারিক সূত্রের দাবী রোগে হতাশাগ্রস্ত থেকে তিনি আত্মহত্যা করেন। আমরা (পুলিশ) লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছি।