রাতের ঢাকা যেন শুধুই ব্যাটারিচালিত রিকশার। রাত যত গভীর হয় ততই বাড়তে থাকে এই বাহনটির দাপট। চার চাকার ভারী যানবাহনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামে অবৈধ ঘোষিত এ সব তিন চাকার গাড়িগুলো। অভিযোগ রয়েছে ট্রাফিক পুলিশকে বখরা দিয়েই সড়কে চলাচল করে এগুলো। ডিএমপি বলছে, পুলিশের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাতে ফাঁকা ঢাকায় সর্বোচ্চ গতিতে অবৈধ ঘোষিত ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করে। দূরপাল্লার গণপরিবহন, আন্তঃজেলা পিকআপ ও অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটে চলে তিন চাকার এই গাড়ি। রাতে গণপরিবহন শূন্য ঢাকায় যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠে ব্যাটারিচালিত রিকশা।
রিকশাচালকরা বলছেন, রাতে পুলিশ আমাদের থেকে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত নেয়। মাঝে মাঝে আমাদের ধরে তারা বলে, রিকশা রেকারে দিয়ে দেবে ও ডাম্পিং করে দেবে। তখন আমরা বলি যেভাবেই হোক একটি সমাধান করেন। তখন পুলিশ আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান বলেন, জনবল সংকটের কারণে দিনের মতো রাতেও সড়কে সেভাবে নজরদারি করা সম্ভব হয় না। এ ছাড়া রাত সাড়ে ১০টার সময় আমাদের ট্রাফিক আনুপাতিক হারে কমে যায়। সেই সুযোগে হয়তো কিছু অটোরিকশা ফাঁকা রাস্তায় আসার সুযোগ খুঁজে। আমরা সবসময় তাদেরকে নজরদারিতে রাখার চেষ্টা করি। যখন পুলিশের সামনে তারা পড়ে তখন তাদের প্রতিহত করা হয়।
ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যদি কোনো ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে যথাযথভাবে বিষয়টি প্রমাণ হয়, তাহলে তা নিশ্চিতভাবে অনুসন্ধান ও পর্যালোচনা করা হবে এবং প্রাপ্ত ফলাফলের উপর ভিত্তি করে আমরা ব্যবস্থা নেব।