• শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
উদয়ের পথে শুনি কার বাণী ভয় নাই ওরে ভয় নাই দীঘিনালাতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন সম্পন্ন গোয়ালন্দে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত সকলকে সবধরনের বিভেদ ভুলে এলাকার উন্নয়ণ ও রাষ্ট্রগঠনে ভূমিকা রাখারও আহবান জানান- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মেহেদী হাসান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন” বুদ্ধিজীবি দিবসে ভিন্নধর্মী আয়োজনে মহালছড়ি সরকারি কলেজ ছাত্রদল বাঘাইছড়িতে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মহালছড়িতে পালিত হলো শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২৪ মাগুরায় রাতের আঁধারে সড়কের গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রাজস্থলীতে যথাযোগ্য মর্যদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত ও আলোচনা সভা বান্দরবান পুলিশ লাইন্স স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে কাপ্তাইয়ে আলোচনা সভা  

১৫ আগস্ট যেন কারবালার মত ঘটনার পুনরাবৃত্তি: প্রধানমন্ত্রী

মাসুদ রানা, স্টাফ রিপোর্টার / ১৯০ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৫ আগস্টের ঘটনা যেন কারবালার মত ঘটনার পুনরাবৃত্তি৷ স্বজনহারা বেদনা নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়৷ বার বার মৃত্যুর মুখে পড়েছি; কিন্তু আমি ভয় পাইনি৷ আসলে আল্লাহ্ মানুষকে কিছু কাজ দিয়ে পাঠান৷ হয়তো আমার কাজগুলো এখনো শেষ হয়নি৷ এই বিশ্বাস নিয়েই আমার পথচলা৷ দোয়া করবেন যাতে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারি৷

রোববার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা-২০২৩ এর বিজয়ী হাফেজদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলামের প্রচার ও তার শান্তির সুবাতাস ছড়িয়ে দিতেই সারাদেশে মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, একটা সময় বিএনপি ক্ষমতায় এসে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের মিনার এবং সেনানিবাসে মসজিদ নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু সব সময়ই ইসলামের খেদমতে কাজ করে আওয়ামী লীগ।

ইসলাম ধর্মের নাম ব্যবহার করে কেউ কেউ জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চায়, যা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয় মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নেই। সন্ত্রাসবাদই তাদের ধর্ম। ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তরুণদের বিপথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তরুণরা যেন বিপথে না যায়, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে মাওলানা, আলেম ওলামাদের। মুসলিম উম্মাহর কোনো সংকটে যেন তৃতীয় শক্তি ঢুকতে না পারে সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

ইসলামের প্রচার প্রসারে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন কথা জানিয়ে কান্না জড়িত কণ্ঠে শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ আগস্টের ঘটনা যেন কারবালার মত ঘটনার পুনরাবৃত্তি৷

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন ওআইসির শক্তিশালী সদস্য; আমিই এখন একমাত্র নারী সরকার প্রধান, পুরো সংস্থাটিতে৷ সেজন্য সদস্যদেশগুলোর যেন একমাত্র বোন হয়ে গেছি আমি৷ প্রত্যেকটা সদস্য দেশের নেতারা আমাকে খুব স্নেহ করেন।

দেশে ইসলাম প্রচারের নানা দিক তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোরআন শরিফকে বিভিন্ন ভাষায় অধ্যয়নের ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে৷ এমনকি ডিজিটালেও কোরআন শিক্ষার জন্য অ্যাপস চালু করা হয়েছে৷ দীর্ঘদিনের অবহেলিত কওমি মাদ্রাসার সনদকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে বর্তমান সরকার৷ এখন আর দেশের মানুষের হজ করতে কষ্ট হয় না৷ ভোগান্তির জায়গাগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে৷ হাজিদের সুবিধার্থে ভবিষ্যতে মক্কায় স্থায়ী অফিস নেয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে সৌদি সরকারের সঙ্গে।

পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলামের প্রচারে সরকারের তরফ থেকে সব ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে৷ ইসলামের মর্মকথা মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতেই দেশব্যাপী মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে৷ ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে সংশ্লিষ্টদের জন্য সাহায্য সহযোগিতা করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে-এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সমাজের বিত্তশালীদের প্রতি দ্বীন ও ইসলামের খেদমতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে দেশে ইসলামের প্রচার প্রসার বাড়ছে৷ এখানকার হাফেজরা আন্তর্জাতিক সম্মান বয়ে আনছেন দেশের জন্য৷ বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে সংশ্লিষ্টরা উদ্যোগ নেয়ার কথা বলেন তিনি৷

কোমলমতি ছেলেদের বিপথে ঠেলে দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ইসলামের দুর্নাম করা হচ্ছে৷ টেরোরিস্ট শুধু ইসলাম ধর্মে না৷ সব ধর্মেই আছে৷ তাদের আসলে কোনো ধর্মই নেই৷ জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নেই৷ অপরাধীদের কোনো ধর্ম নেই।

ইমামদের উদ্দেশ্যে করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে যার যার ধর্ম সে সে পালন করবেন, যার যার কর্মফল সে সে ভোগ করবে৷ ধর্মের নামে খোদার ওপর খোদকারি করবেন না৷ ইসলামের মর্মবাণী মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেন। সন্ত্রাস করে ইসলাম সম্পর্কে যেন কেউ বদনাম করতে না পারে, সেদিকে সবাই খেয়াল রাখবেন৷হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৫ হাফেজকে পুরস্কৃত করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ