রাজধানীর শাহজাহানপুরের গুলবাগে যুবলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দিবাগত রাতে গুলবাগ জোয়ারদার লেনে বাসার পাশে রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
রাজনীতির পাশাপাশি নিহত শেখ অলিউল্লাহ রুবেল (৩৬) এলাকায় ইন্টারনেট ও ডিমের ব্যবসা করতেন। স্ত্রী ও একমাত্র মেয়েকে নিয়ে জোয়ারদার লেনের ১৫৩/এ নম্বর বাসায় ভাড়া থাকতেন তিনি। তার বাবার নাম শেখ নবী উল্লাহ খোকন। শান্তিবাগে তাদের নিজেদের বাড়ি রয়েছে।
হাসপাতালে তার ভগ্নিপতি মো. মামুন আহমেদ সিদ্দিকী জানান, রাতে রাজারবাগ এলাকা থেকে জোয়ারদার লেনে নিজের ভাড়া বাসায় ফিরছিলেন রুবেল। পথে বাসার অদূরে ৪-৫ জন তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। সংবাদ পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাকে পঙ্গু হাসপাতাল এবং সবশেষ ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার মাথায়, ডান হাতে, কাঁধ, ডান পাসহ সারা শরীরেই ধারালো অস্ত্রের আঘাত করা হয়েছে। পাম পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তবে কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা জানাতে পারেননি তিনি।
মামুন আরও জানান, রুবেল শাহজাহানপুর থানা ছাত্রলীগের সাবেক দফতর সম্পাদক ছিলেন। তবে বর্তমানে যুবলীগের রাজনীতি করতেন। কিন্তু কোনো পদে ছিলেন না। এলাকাতে তার ইন্টারনেটের ব্যবসা রয়েছে। এ ছাড়া তেজগাঁও থেকে ডিম এনে শান্তিনগর, সিদ্ধেরশ্বরী এলাকায় বিক্রি করতেন। তার স্ত্রী তানজিনা দেওয়ান কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগে সদস্য।বর্তমানে শাহজাহানপুর থানা ১২ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলেন তিনি।
এদিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাহজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফারুকুল আলম জানান, তার সারা শরীরেই ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। মরদেহটি ঢাকা মেডিকেলের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। কারা, কী জন্য এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। খুব দ্রুতই ঘাতকদের আইনের আওতায় আনা হবে।