রাজধানী ঢাকাতে দেশের সবচেয়ে বড় দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সাভার ও আশুলিয়ার সড়ক-মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এদিকে রাজধানী ঢাকার প্রবেশ পথ সাভারের আমিনবাজার ও বিরুলিয়ায় পুলিশের চেক পোস্ট থেকে সাভার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফাসহ অন্তত ৪০ নেতাকর্মীকে আটক করার অভিযোগ উঠছে।
বুধবার (১২ জুলাই) সকাল ৭টা থেকেই সাভারের আমিনবাজার, বিরুলিয়া এবং আশুলিয়ার নবীনগর, বাইপাইল ও জামগড়াসহ বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে দূর পাল্লার পরিবহন, যাত্রী ও সন্দেহভাজন পথচারীদের তল্লাশি করছে সাভার ও আশুলিয়া থানা পুলিশ। ফলে সড়ক-মহাসড়ক গুলোতে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট।
এছাড়াও যাত্রীবাহী পরিবহনগুলোকে রাজধানীতে প্রবেশ করতে না দেয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
উপায় না পেয়ে হাজার হাজার মানুষ কে পায়ে হেঁটেই ঢাকায় প্রবেশ করতে দেখা গেছে। তবে এদের মধ্যে নয়াপল্টনে বিএনপি সমাবেশে যোগ দিতে যাবেন এমন নেতাকর্মীর সংখ্যাই ছিল বেশি।
এদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে বিএনপির সমাবেশে যেতে বাধা প্রদান করা এবং নেতাকর্মীদের আটক করার অভিযোগ এনে ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম আমাদের কে বলেন, নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকায় সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য ৭০টি হাইয়েস গাড়ি ভাড়া করা হয়। তার মধ্যে ১৫ থেকে ২০টি গাড়ি জাহাঙ্গীরনগর সোসাইটি গেটের সামনে রাখা হলে পুলিশ গাড়িগুলোর চাবি নিয়ে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন সড়ক থেকে আমাদের আরো প্রায় অর্ধশত গাড়ি আটকে দেওয়া হয়েছে। সমাবেশে যাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা যোগ দিতে না পারেন সে জন্য পুলিশ বিভিন্নভাবে আমাদের বাধা সৃষ্টি করে এবং সাভার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফাসহ অন্তত ৪০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা আমাদের কে বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণেই ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে পুলিশি তল্লাশি কার্যক্রম চলছে। তবে এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন কিংবা সন্দেহজনক কিছুই পাওয়া যায়নি এবং কাউকে আটকও করা হয়নি।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস