বাজারে প্রায় প্রতিটি সবজির মূল্য চড়া থাকলেও কিছুটা স্বস্তি ছিল আলুতে। কিন্তু এবার আলুও কয়েক দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে ৫০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বাজারে বর্তমানে ভালো মানের সাদা (গ্র্যানুলা) বা লাল (কার্ডিনাল) আলু কিনতে হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। আর দেশি জাতের আলু ৬০ টাকা।
ঊর্ধ্বমুখী বাজারে আলুর দাম বাড়ায় নিম্নআয়ের পরিবারগুলোতে বাড়তি চাপ পড়েছে। প্রয়োজনীয় এ পণ্যের চড়া দাম প্রভাব ফেলেছে মধ্যবিত্ত পরিবারেও।
বিক্রেতারা বলছেন, আলুর মূল্যবৃদ্ধি শুরু হয়েছে রোজার ঈদের পর থেকে। গত দু’দিনে বাজারে আলুর দাম বেড়ে প্রতি কেজি এখন ৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৪০ টাকা। ঈদের পরপর প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে বার্ষিক আলুর চাহিদা ৮৫ থেকে সর্বোচ্চ ৯০ লাখ টন।
২০২২-২৩ অর্থবছর দেশে ১ কোটি ১১ লাখ টন আলু উৎপাদন হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে বেশি। এ উৎপাদন দেশে আলুর চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি।
রোববার (৯ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাদা ও লাল আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে; যা দুদিন আগে ছিল ৪০ টাকা। তবে, কারওয়ান বাজারে কয়েকটি দোকানে প্রতি কেজি আলুর দাম এখনো ৪৫ টাকা রাখা হচ্ছে। দেশি ছোট গোল আলু ৬০ থেকে ৭০ টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের যেসব অঞ্চলে আলু উৎপাদন হয়, সেসব এলাকায়ও সবধরনের আলুর দাম বেড়েছে। বগুড়া অঞ্চলেই গত তিন সপ্তাহের ব্যবধানে হিমাগার পর্যায়ে পাইকারিতে সব ধরনের আলুর দাম বেড়েছে।
প্রান্তিক চাষিরা বলছেন, বাজারে অন্য সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় আলুর চাহিদা বেড়েছে। সে অনুযায়ী সরবরাহ কম থাকায় আলুর দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এ ছাড়া এ বছর আলুর চাষাবাদও বেশ কমেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক মোখলেছুর রহমানের ভাষ্য, প্রতিবছর উদ্বৃত্ত আলু অবিক্রীত থেকে যায়। চাষিদের লোকসান হয়। এ বছর আলুর ব্যাপক ফলন হয়েছে। তারপরও আলুর দাম কেন বাড়ল, সেটা বুঝতে পারছি না।’
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস