দেশের বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়ে বিনামূল্যে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে রোববার তিনি এ দাবি জানান।
জিএম কাদের বিবৃতিতে বলেন, ‘ভয়াবহ হচ্ছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। যাদের ব্যর্থতা ও সমন্বয়হীনতায় নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না ডেঙ্গু পরিস্থিতি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্নীতির প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা নিতে হবে তাদের বিরুদ্ধেও। এছাড়া, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সরকারি সহায়তায় বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।’
এ বছরের ডেঙ্গু পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিরোধী দলীয় উপনেতা কাদের বলেন, ‘শনিবার এক দিনে ৮২০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। যা সংখ্যার দিক থেকে এ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। সরকারি হিসেবে শনিবার ডেঙ্গু আক্রান্ত ২ জন মারা গেলেও এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৬৭ জন। সাধারণ মানুষের ধারণা এই সংখ্যা আরো বেশি। সরকারি হিসেবে সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ২ হাজার ৫০২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছে। এবছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২ হাজার ১১৮ জন। গেলো বছর ২৮১ জন রোগি ডেঙ্গু আত্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।’
জিএম কাদের আরো বলেন, ‘২০১৯ সালে ইতিহাসের সব চেয়ে বেশি ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব হয়েছিলো। সে বছর রাজধানীর ৯৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২১টি ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে ছিলো। কিন্তু এ বছর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রাক-বর্ষ জরিপে রাজধানীর ৯৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৫টিই ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। যা ভয়াবহ পরিস্থিতির আশংকা সৃষ্টি করেছে।’
মশক নিধনে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ নেই অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘লোক দেখানো ঔষধ ছেটানো হয়, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। আবার, ঔষধের কার্যকারিতা নিয়েও সাধারণ মানুষের মাঝে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখনই নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে, ভবিষ্যতে এর পরিণাম আরো ভয়াবহ হয়ে উঠবে। দ্রব্যমূল্য উধগতির কারণে দেশের মানুষের এমনিতেই হিমশিম অবস্থা। তাই বিনামূল্যে ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।’
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস