• রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
বিএনপির আগামীর রাজনীতি হবে বাংলাদেশের মানুষ ও তারুণ্যের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশাকে প্রাধান্য দিয়ে- আমীর খসরু বানভাসিদের জন্য রাজারবাগ দরবার শরীফের মেডিকেল ক্যাম্পেইন খাগড়াছড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সাত দিনের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে রেড ক্রিসেন্ট আরাফাত রহমান কোকোর স্মৃতি স্মরণে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত কাচালং নদীতে গোসল করতে নেমে এক কিশোরী নিখোজ নবীনগরে উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ,র ৫২ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালন মানিকছড়িতে মারমা কল্যাণ সমিতির মতবিনিময় ও আলোচনা সভা মানিকছড়িতে মারমা ঐক্য পরিষদের মতবিনিময় সভা জেলার ত্রাণ তহবিলে নানিয়ারচর বিএনপির অর্থ জমা লংগদুতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক পরিবারের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করে সেনা জোন লংগদুতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত লংগদুতে ইউপি সদস্য রূপচান,র, পদ ত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন

কীভাবে নির্বাচন হবে তা বাংলাদেশের আইনেই আছে: রাশিয়া

মাসুদ রানা, বিশেষ প্রতিনিধি: / ১৩৯ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শনিবার, ৮ জুলাই, ২০২৩

মাসুদ রানা, বিশেষ প্রতিনিধি:

বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের রাজনীতিবিদদের তৎপরতা নব্য উপনিবেশবাদ ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। তিনি বলেন, বাংলাদেশে কীভাবে নির্বাচন হবে তা দেশটির আইনেই আছে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) মস্কোতে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন তিনি। শুক্রবার (৭ জুলাই) রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইটে মারিয়া জাখারোভার পুরো বক্তব্য প্রকাশ করেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক টুইটে মুখপাত্রের বক্তব্য সংক্ষিপ্তভাবে প্রকাশ করে। টুইটে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ইউরোপ ও আমেরিকার কিছু রাজনীতিবিদের চিঠি প্রকাশের বিষয়টি আমরা লক্ষ্য করেছি। এটি হচ্ছে, নব্য উপনিবেশবাদ এবং একটি স্বাধীন দেশে নির্লজ্জ হস্তক্ষেপের একটি অপপ্রয়াস।’

মারিয়া জাখারোভা বলেন, জুনের মাঝামাঝি ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয় সদস্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তাবিষয়ক উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি জোসেপ বোরেলকে এবং একই সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে ডেমোক্রেটিক পার্টির মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের পাঠানো যে চিঠিগুলো প্রকাশিত হয়েছে, তা লক্ষ্য করেছি। চিঠিগুলোতে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন,আমি আগে কখনো শুনিনি যে বাংলাদেশ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য। এটা শুনিনি কারণ বাংলাদেশ এর সদস্য নয়। আমি জানতাম না যে বাংলাদেশের নির্বাচন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের সঙ্গে যুক্ত। পশ্চিমাদের যুক্তিটা এমন যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তাবিষয়ক উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে প্রাক্‌-নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য সেখানে একটি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে কিছু সুপারিশ তুলে ধরবেন। এটা নব্য উপনিবেশবাদ ছাড়া আর কী?

ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদদের চিঠির সমালোচনা করে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, এগুলো একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নির্লজ্জ হস্তক্ষেপের চেষ্টা।

বাংলাদেশে কীভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা হবে, তা দেশটির আইনে খুব স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করা আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন,

বাংলাদেশের স্বার্থকে সমুন্নত রেখে একটি স্বাধীন অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতি অনুসরণের যে আকাঙ্ক্ষা ঢাকার রয়েছে, তাতে রাশিয়ার সমর্থন রয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের বিষয়ে সরকার ও অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো। এমনটাই জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতি বিষয়ক শীর্ষ প্রতিনিধি জোসেফ বোরেল।

ইইউ পার্লামেন্ট সদস্য (এমইউপি) ইভান স্টেফানেককে লেখা চিঠিতে এ কথা বলেন বোরেল।

গত ১২ জুন বাংলাদেশ নিয়ে ইইউর ছয় আইনপ্রণেতা জোসেফ বোরেলকে একটি চিঠি লেখেন। চিঠিতে বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সাধারণ নির্বাচন নিশ্চিতে অবদান রাখার জন্য পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধানকে অনুরোধ করা হয়।

সেই চিঠির জবাবে ইভান স্টেফানেককে লেখা এক চিঠিতে বোরেল বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা।

আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি না, সেটি মূল্যায়ন করার জন্য তাদের একটি দল শিগগিরই বাংলাদেশে আসছে। চিঠিতে এমনটাই জানিয়েছেন বোরেল।

চিঠিটি বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) ইইউ আইনপ্রণেতা ইভান স্টেফানেকের কাছে পাঠানো হয়। ইভান স্টেফানেক এখন চিঠিটির বিষয়বস্তু পর্যালোচনা করবেন এবং শীর্ষ কর্মকর্তা বোরেলের উত্থাপিত পয়েন্টগুলো বিবেচনায় নিয়ে সে অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানাবেন।

জোসেফ তার চিঠিতে আরও বলেছেন, ইইউ বাংলাদেশের সব দল ও নাগরিককে তাদের রাজনৈতিক অধিকার প্রয়োগ করতে এবং সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করে। নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা তৈরি করা সব পক্ষের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

তিনি বলেন,

মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সমাবেশের স্বাধীনতাসহ মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো রক্ষা করা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য অপরিহার্য। অন্যদিকে এই প্রক্রিয়ায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই এবং যেকোনো মূল্যে তা এড়ানো উচিত।

শনিবার (৮ জুলাই) ১৫ দিনের সফরে আগামী জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ পর্যবেক্ষণে ঢাকা আসছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদল। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/রনি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ