রাজবাড়িতে ২২১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত, রাজবাড়ী টু মাছপাড়া সড়ক নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে,যৌথ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মীর হাবীবুর আলম এবং শামীম এন্টারপ্রাইজ (জেবি) লিমিটেড সহ জেলা সড়ক বিভাগ এর বিরুদ্ধে। এই মহাসড়ক নির্মাণের মাত্র ১৫ মাসের মধ্যেই রাস্তার বেহালদশা। ধাঁমাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত জেলা সড়ক বিভাগ।
এযেন বাঁহারী কায়দা,ছোট বেঁলায় দেখতাম কৃষক ফসল ফলানোর জন্য চাষ করে জমি। কিন্তু এখন দেখছি মহাসড়কেও চাষ হয়। এ চাষ আবার যেন তেন চাষ নয়,অনিয়ম আর দুর্নীতির মাধ্যমে নয়ছয় করে তৈরী করা ২২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৩ কিলোমিটার রাস্তার বেহালদশা সংস্কার করার জন্য মহাসড়কে দেওয়া হচ্ছে চাষ।
ঢাকা টু কুষ্টিয়া মহাসড়ক। এর রাজবাড়ী হইতে মাছপাড়া পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটার রাস্তার পুননির্মাণ ও প্রশস্ত করণ, করার কাজে ২২১ কোটি টাকা ব্যয় করে জেলা সড়ক বিভাগ। গত ২০২১ সালের মার্চে সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ হলে তা জেলা সড়ক বিভাগ কে বুঝিয়ে যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু রাস্তার কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার মাত্র ১৫ মাসের মধ্যেই মহাসড়কের বেহাল দশা। নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী,ভিটুমিন,কার্পেটিং ওঠে যাওয়া,খানাখন্দ,সড়ক বেঁকে যাওয়া,দেবে য়াওয়া,পাথর উঠে য়াওয়া সহ সৃষ্টি হয়েছে নানাধিত সমস্যা।
রবিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কে পুনরায় সংস্কার করার কাজ চলছে। সড়কটি নির্মানের ৩৬ মাস পর্যন্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে থাকলেও কিন্তু মাত্র ১৫ মাসের মাথায় কর্তৃপক্ষ মহাসড়কের অনন্ত ১০টি পয়েন্ট সংস্কার করেছে ৭ বার। এর মধ্যে পাংশা ও কালুখালি এই দুইটি পয়েন্টে, মহাসড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এমন অবস্থায় গাড়ীর চালকরা ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এই মহাসড়ক নির্মাণে মানা হয়নি সিডিউলে উল্লেখিত কোন প্রকার নিয়ম। নিজের ইচ্ছেমত কাজ করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন যৌথ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। যার কারণে কাজ শেষ করার ১ বছর পার হতে না হতেই মহাসড়কের বেহাল দশা। এই সড়ক নির্মাণে নিম্ন মানের সামগ্রিক ব্যবহার করার কারণে বেড়েছে দুর্ঘটনাও। ফলে প্রতিদিনই সড়কের বিভিন্ন স্থানে ঘটছে প্রানহানীর মত ঘটনা। কয়েকদিন আগেও একটি রোড এক্সিডেন্টে ৬ জন মারা যায়।
এবিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মীর হাবীবুর আলম এরং শামীম এন্টারপ্রাইজ (জেবি) লিমিটেডের এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও,কাউকে পাওয়া য়ায়নি।
আর রাজবাড়ি জেলার সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নওয়াজিস রহমান বিশ্বাস ক্যামেরার সামনে কোনো প্রকার কথা বলতে রাজি হননি। মৌখিকভাবে বলেন,রাস্তার কাজ খুবই ভালো হয়েছে। কিন্তুু প্রশ্ন করা হয়েছিলো তাহলে একাধিক পয়েন্টে বার বার সংস্কার করার কাজ প্রয়োজন হচ্ছে কেন? এমন প্রশ্নের কোন সঠিক জবাব দিতে পারনি তিনি। উল্টো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সাফাই ও গুনগান গাইতে শুরু করেন তিনি।
এযেন সড়িশার মধ্যেই ভুত। যাদের দায়িত্ব মহাসড়কের কাজ ভালো হচ্ছে কিনা? তদারকি করা। তারাই দালালি করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে। এটা থেকেই বুঝা যায় এই সড়কে কতটুকু মানের কাজ হয়েছে। তবে এখনও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ২১ মাস মেয়াদ বাকী থাকায়, আড়াই পারসেন্ট জামানত অর্থাৎ ৫ কোটি টাকা জেলা সড়ক বিভাগ এর আওতায় জমা রয়েছে। জেলা সড়ক বিভাগ চাইলে রাস্তার ক্ষতি পুরন চেয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে বিরুদ্ধে।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস