• রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৫:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
পাহাড়খেকো আওয়ামী লীগ নেতা আহসান উল্লাহ’কে ঠেকাবে কে ? কাপ্তাই সেনা জোনের উদ্যোগে চালু হল ”মানবতার দেওয়াল” কালবৈশাখীর ছোবলে মানিকছড়িতে ঘর-বাড়ি ভেঙে চুরমার বিদ্যুৎ লাইন বির্পযয় রামগড়ে বজ্রপাতে গংজ মার্মার মৃত্যু কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাব স্টেশনের সুইচ ইয়ার্ডে অগ্নিকান্ড উপজেলা নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থীদের জেতাতে মরিয়া জেএসএস (সন্তু) খাগড়াছড়িতে নির্বাচনের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় মা‌টিরাঙ্গায় সাংবাদিক হাসান আল মামুনের বিরু‌দ্ধে মানববন্ধন মোংলায় নানা আয়োজনে মহান মে দিবস পালিত নওগাঁয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প বেলকুচি উপজেলা নির্বাচনে উড়োজাহাজ প্রতিকে আবারও ভোট চান সফল ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী সেখ রামগড়ে ১০৫ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

গোয়ালন্দে আগুনে নিঃস্ব তিনটি দরিদ্র পরিবার, খোলা আকাশের নিচে বসবাস

সাইফুর রহমান পারভেজ, গোয়ালন্দ প্রতিনিধিঃ। / ২৭২ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শুক্রবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৩

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কাইমদ্দিন প্রামানিক পাড়ায় আগুনে পুড়ে তিনটি দরিদ্র পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন মো. ছাত্তার শেখ, মো. হারুন শেখ ও বাচ্চু শেখ। আগুনে তাদের বসবাসের একমাত্র ঘরগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে তারা এক প্রকার খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।

ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে কিয়াম শেখের রান্না ঘরের চুলার আগুন থেকে এ অগুনের সূত্রপাত ঘটে। ইফতারের আগ মূহুর্তে কাজের চাপ বেড়ে যাওয়ায় বেখেয়ালে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান , অল্প সময়ের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে কারোরই যেন কিছু করার ছিল না। তারমধ্যেও অনেকে পাশের পুকুর থেকে পানি এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।
খবর পেয়ে এসে গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় আধা ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে দরিদ্র তিনটি পরিবারের বসত বাড়ির তিনটি থাকার ঘর এবং কিয়াম শেখের রান্না ঘরসহ চারটি রান্না ঘর ও ঘরে থাকা সহায় সম্বল সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র পিয়াজ ব্যবসায়ী ফারুক শেখ বলেন, বুধবার হাটে পিয়াজ বিক্রি করে নগদ ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা ঘরে এনে রেখেছিলাম। ভয়াল আগুনে সব টাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। টাকাগুলো আমার ব্যাবসার পুঁজি ছিল। মূহুর্তেই আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম। এখন কি দিয়ে ব‍্যবসা করবো, আর স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোথায় গিয়ে থাকবো ভেবেই কূল পাচ্ছি না।

রিকশা চালক ছাত্তার শেখের স্ত্রী শরিফা বেগম বলেন, আমাদের একমাত্র থাকার অবলম্বন ছিল এই ঘর। দিন এনে দিনে খেয়ে কোনো মতো এই ঘরে ঘুমাতাম। সেই ঘরটিও আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেলো। আমরা একেবারে নিঃশ্ব হয়ে গেলাম।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই আমরা রওয়ানা দিয়েছি। বেশ কিছুটা পথ ঘুরে আসতে হয়েছে ঘটনাস্থলে।
পদ্মারমোড় দিয়ে সরাসরি বাজার হয়ে ঘটনাস্থলে আসতে পারলে ক্ষয়-ক্ষতির হাত থেকে ভুক্তভোগীদের হয়তো কিছুটা রক্ষা করা যেত। কিন্তু বাজারের প্রধান সড়কে ড্রেন নির্মানের জন্য খনন করে রাখায় তাদের কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।

এম/এস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ